ভুল চিকিৎসায় বিচারকের স্ত্রীর মৃত্যু : দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পরোয়ানা

চট্টগ্রামে চিকিৎসকের অবহেলায় বিচারকের স্ত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ এনে দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ৬ষ্ঠ মহানগর হাকিম হারুনুর রশিদ এর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন নিহত প্রসূতি সায়মা শিকদার (২২) এর মা সালমা বেগম।

মামলা দায়েরের পর আদালত দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা অভিযুক্ত দুই চিকিৎসক হলেন- গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. কাজল রেখা রায় ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারির রেজিস্ট্রার ডা. দেবাশীষ তালুকদার। এ ছাড়া নগরীর পেশেন্ট কেয়ার হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আরেফিন রিজভি এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় বাদিনী সালমা বেগম সন্তান প্রসবের সময় অভিযুক্তদের অবহেলায় তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন। নিহত সায়মা শিকদার নোয়াখালীর সহকারী জেলা জজ মোরশেদুল আলমের স্ত্রী এবং চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজের সমাজতত্ত্ব বিভাগের সম্মান চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

সালমা বেগম অভিযোগ করেছেন, ডা. কাজল রেখা রায়ের তত্ত্বাবধানে সায়মার প্রসূতিকালীন চিকিৎসা চলছিল। তার সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ ছিল ২০ জুন। কিন্তু ২ জুন রাতে সায়মার প্রসব ব্যথা উঠলে ডা. কাজল রেখা রায়কে ফোন করা হয়। তিনি সায়মাকে দ্রুত পেশেন্ট কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন।

সায়মাকে গত ৩ জুন ভোর সাড়ে ৬টায় নগরীর কেবি ফজলুল কাদের চৌধুরী রোডের মায়াবিনী বিল্ডিংয়ে পেশেন্ট কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ১টার দিকে সায়মাকে পেশেন্ট কেয়ারে ভর্তির পর তাকে সিজার অপারেশন করার কথা বলেন চিকিৎসক। রাত ২টায় অপারেশন থিয়েটারে সায়মা ছেলের জন্ম দেন। ৩ জুন সকাল পৌনে ৭টার দিকে তাকে মেট্রোপলিটন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু রোগী সেখানে নেওয়ার ঘণ্টাখানেক আগেই মারা গেছেন বলে জানান মেট্রোপলিটনের চিকিৎসকরা।

মৃত সায়মা নগরীর অক্সিজেন-কাপ্তাই লিংক রোডের নয়াহাট এলাকার এমদাদউল্লহর মেয়ে। ২০১৫ সালের ১৭ মার্চ সায়মা-মোরশেদ দম্পতির বিয়ে হয়।



মন্তব্য চালু নেই