ভুল বিচারে কিশোরকে ফাঁসি, ২৭ কর্মকর্তাকে শাস্তি

ভুল বিচারে এক কিশোরকে ফাঁসিতে ঝোলানোয় চীনের ২৭জন সরকারি কর্মকর্তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার বরাত দিয়ে গতকাল রোববার এএফপির খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
ওই কিশোরের নাম হুগজিল্ট। ১৯৯৬ সালে উত্তর চীনের স্বায়ত্তশাসিত এলাকা ইনার মঙ্গোলিয়ার রাজধানী হুহতে একটি পোশাক কারখানার শৌচাগারে এক নারীকে ধর্ষণ করে হত্যার দায়ে তাকে ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়। ওই সময় তাঁর বয়স ছিল ১৮ বছর। ওই বছরের শেষের দিকে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
কিন্তু ২০০৫ সালে একজন ক্রমিক ধর্ষণকারী ওই ঘটনার দায় স্বীকার করলে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এবং ২০১৪ সালে পুনর্বিচারে হুগজিল্টের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ প্রত্যাহার করে তাঁকে নির্দোষ ঘোষণা করা হয়।

চীনের কোনো মামলার অভিযোগ থেকে খালাস পাওয়ার ঘটনা খুবই কম। আর রায় উল্টে যাওয়ার ঘটনা আরও বিরল।

সিনহুয়া সরকারি এক বিবৃতির উল্লেখ করে জানায়, ২৬ জন সরকারি কর্মকর্তাকে তিরস্কার ও তাঁদের রেকর্ড বইয়ে নেতিবাচক এই ঘটনার উল্লেখ থাকাসহ প্রশাসনিক শাস্তি দেওয়া হয়েছে। আর হুগজিলতের ভুল বিচারের জন্য দায়ী কালোতালিকাভুক্ত অন্যতম কর্মকর্তা ফেং ঝিমিং চাকরিরত অবস্থায় আরো অপরাধ করেছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাই তাঁর বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে ।

সিনহুয়া জানায়, হুহতের নিরাপত্তা ব্যুরোর সাবেক উপপ্রধান ফেং বিচারের মুখোমুখি হতে পারেন।

সন্ত্রাসবিরোধী এক অভিযানের সময় ওই হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। এ জন্য ইনার মঙ্গোলিয়ার গোয়েন্দাদের ওপর কাউকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য চাপ ছিল। তাই বাহিনী জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করেছিল।

এ ঘটনায় ছেলে হারানো হুগজিল্টের বাবা-মায়ের প্রতি আদালত সমবেদনা প্রকাশ করে তাঁদের ৩০ হাজার ইউয়ান (৪ হাজার ৮৫০ মার্কিন ডলার) ক্ষতিপূরণ দেন।



মন্তব্য চালু নেই