ভুয়া সংবাদ বোঝার ১০ টিপস

প্রায়ই অদ্ভুত কোনো খবর চলে আসে আপনার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিউজ ফিডে। অনেক সময় বোঝা যায় না যে খবরটি বিশ্বাস করা ঠিক হবে কি না। অনেক ভুয়া সংবাদ মানুষকে বিভ্রান্তও করে। এমন অবস্থায় কয়েকটি বিষয় লক্ষ রাখলে ভুয়া খবরগুলো সহজে চিহ্নিত করা যায়।

ফ্যাক্টচেকিং-বিষয়ক যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংগঠন ‘ফুল ফ্যাক্ট’ ভুয়া খবর বন্ধে কাজ করছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের সঙ্গে। ফেসবুক ও ফুল ফ্যাক্ট ১০টি টিপস দিয়েছে ব্যবহারকারীদের, যার মাধ্যমে বোঝা যাবে এটা ভুয়া সংবাদ। বিভ্রান্তিও কিছুটা দূর হবে ব্যবহারকারীদের। টিপসগুলো হলো:

সন্দেহজনক শিরোনাম

ভুয়া খবরের শিরোনাম সব সময় খুব চমকপ্রদ হয়। হয়তো এমন কোনো খারাপ সংবাদ আপনার নিউজ ফিডে এল, যা অবিশ্বাস্য। হতেই পারে না। এমন ক্ষেত্রে সংবাদটি ভুয়া হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

ইউআরএলের দিকে একটু নজর

ওয়েব ব্রাউজারের ওপরের অংশে ‘অ্যাড্রেস বার’ থাকে। অ্যাড্রেসবারের ভেতর যে লেখাগুলো থাকে, তাকে ইউআরএল বলা হয়। সন্দেহ হচ্ছে ভুয়া কি না, এমন সংবাদের ইউআরএলটা একটু দেখে নিতে পারেন। যদি দেখা যায় খুব পরিচিত বা জনপ্রিয় সাইটের সঙ্গে নামের মিল পাওয়া যাচ্ছে, তাহলে সংবাদটি যাচাই করার প্রয়োজন আছে।

খবরের উৎস কী?

নিশ্চিত করুন সংবাদে যে উৎসের কথা বলা হয়েছে, তা বিশ্বাসযোগ্য সূত্র কি না। একটু গুগল করে দেখতে পারেন। এমন যদি হয়, খবরটি কোনো অপরিচিত সংবাদ সংস্থার মাধ্যমে পাওয়া গেছে; তাহলে ওই সংস্থার ওয়েবসাইটে গিয়ে একটু খোঁজখবর করে দেখুন।

অস্বাভাবিক বিন্যাস

অনেক সময় খবরে প্রচুর বানান বা নামের ভুল পাওয়া যায়। সাধারণত নির্ভরযোগ্য কোনো মাধ্যম নাম বা বানান ভুল করে না। এটা খেয়াল রাখুন।

ছবিটি পরখ করে দেখা যেতে পারে

ভুয়া খবরগুলোতে সব সময় কারসাজি করা ছবি বা ভিডিও যোগ করা হয়। অনেক সময় দেখা যায়, ছবি হয়তো ঠিক কিন্তু যে বিষয়ে সংবাদ দেওয়া হচ্ছে, সেই বিষয় সম্পর্কিত নয়। সন্দেহ হলে ছবিটা একটু পরীক্ষা করে দেখুন। অন্য কোথাও এমন ছবি আছে কি না, একটু যাচাই করে নিলে ভুয়া খবর সহজেই বোঝা যায়।

কত তারিখের সংবাদ?

ভুয়া খবরগুলোতে দিন-তারিখে প্রায়ই ভুল থাকে। অনেক সময় অদ্ভুত তারিখ উল্লেখ থাকে। এগুলো লক্ষ করুন।

প্রমাণ পরীক্ষা করে দেখুন

লেখক সংবাদে যেসব উৎসের কথা বলেছেন, তা পরীক্ষা করে দেখুন। কোনো অর্থনীতিবিদের উদ্ধৃতি দিয়ে থাকলে তার নাম-পদবি ঠিক আছে কি না তা দেখুন। এতেও ভুয়া খবর চেনা যায়।

অন্য কোথাও সংবাদটি রয়েছে কি না

একেবারেই বিশ্বাস হচ্ছে না। হতেই পারে না—এমন সংবাদের ক্ষেত্রে দেখে নেওয়া যেতে পারে অন্য কোনো সংবাদমাধ্যম এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে কি না। না হলে বুঝবেন এটা ভুল তথ্য।

খবরটা মজা করার জন্য নয় তো?

অনেক সময় মজা করার জন্যও সংবাদ বানানো হয়। চলে আসে নিউজ ফিডেও। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ওটা সংবাদ নয়, জোকস।

কিছু গল্প ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা

খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লেও ভুয়া সংবাদ বোঝা যায়। এসব ক্ষেত্রে সংবাদের যেটুকু সত্যি মনে হয়, সেটুকুই শেয়ার করলে ক্ষতি কী!



মন্তব্য চালু নেই