ভূতের পাল্লায় পড়েছেন এই বলিউড তারকারা, জেনে নিন কীভাবে…

সাম্প্রতিক সময়ের বেশ কিছু বলিউড তারকা জানিয়েছেন, তাঁরা নাকি ভৌতিক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন কোনও না কোনও সময়ে। মন খোলা রেখে গল্পগুলো শুনে নিন।

বলিউডে হরর মুভি মানেই খানিকটা রঙ্গ-তামাশার ব্যাপার— এমন একটা কথা বহুকাল ধরে হাওয়ায় ভাসতো। সেই যুগ রামসে ব্রাদার্স-এর যুগ। ‘পুরানি হাভেলি’ কি ‘দো গজ জমিন কে নিচে’ অথবা ‘পুরানা মন্দির’ দেখে ভয় পাওয়ার চাইতে হাসিই পেয়েছে বেশি— এমন স্মৃতিচারণে মাতেন সেদিনকার যুব-প্রজন্ম। তার পরে দিন কাল বদলেছে। বলিউড সাবালক হতে চেয়েছে হরর জ্যঁরে। বিক্রম ভট্ট বা রামগোপাল বর্মা টক্কর দিতে চেয়েছেন হলিউডের সঙ্গে। তৈরি হয়েছে স্মার্ট হরর ছবি। সেই সঙ্গে কি বেড়ে গিয়েছে বলিউড-তারকাদের ভূত-সঙ্গও? সাম্প্রতিক সময়ের বেশ কিছু বলিউড তারকা জানিয়েছেন, তাঁরা নাকি ভৌতিক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন কোনও না কোনও সময়ে। তাঁদের এই দাবির সত্য-মিথ্যা নিরূপণের ঝামেলায় যাওয়ার দরকার নেই। কেবল মন খোলা রেখে গল্পগুলো শুনে নিলেই হয়।

• ইমরান হাসমি— তরুণীদের হৃদয়ে তরঙ্গ তোলা এই আবেদনময় নায়ক জানিয়েছেন, তিনি নাকি একবার বন্ধুদের সঙ্গে মাথেরানের এক হোটেলে উঠেছিলেন। হোটেলটির ‘ভুতুড়ে’ বলে বদনাম ছিল। রাতে তাঁরা হঠাৎই তীব্র চিৎকার শুনতে পান। তল্লাশ করে কিছুতেই সেই চিৎকারের উৎস জানা যায়নি।

• সোহা আলি খান— রাজকীয় সুন্দরী সোহার ভৌতিক অভিজ্ঞতাও বেশ জমাটি। তিনি হরর কমেটি ছবি ‘গ্যাংগ অফ গোস্টস’ ছবির শ্যুটিংয়ে গুজরাতের এক প্রাসাদে ছিলেন তখন। সেখানেই তিনি এবং মাহি গিল কিছু গোলমেলে ঘটনার সম্মুখীন হন। শ্যুটিং শেষের দিন বাড়ির ভিতর থেকে আসবাবপত্র সরানোর আওয়াজ পান তাঁরা। প্রথমে মনে হয়েছিল, শ্যুটিংয়ের দল তাঁদের জিনিসপত্র গোটাচ্ছেন। কিন্তু সেই ঘরে গিয়ে দেখা যায়, কেউ কোত্থাও নেই।

• গোবিন্দা— এক পাহাড়ি এলাকায় শ্যুটিংয়ে গিয়ে ভৌতিক অভিজ্ঞতা হয় গোবিন্দার। মাঝরাতে হঠাৎই তাঁর মনে হয়, একজন বৃদ্ধা মহিলা তাঁর বুকের উপরে চেপে বসেছে। ধড়ফড় করে উঠে বসে টেবিল ল্যাম্প জ্বালান তিনি। কিন্তু সেই বৃদ্ধাকে দেখতে পাননি। ঘটনাটির ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বার বার হোঁচট খেয়েছেন তিনি।

• কর্ণ সিংহ গ্রোভার— ভৌতিক ছবি ‘অ্যালোন’-এ অভিনয় করতে গিয়ে কিছু আশ্চর্য অনুভূতি হয়। এই ছবির বেশ কিছু ভয়ের দৃশ্যে তিনি আবিষ্ট বোধ করতে শুরু করেন। কোনও কোনও দৃশ্যের শ্যুটিংয়ে তাঁর মনে হতে থাকে, কোনও বিদেহী আত্মা যেন সেখানে রয়েছে। এর বেশি কিছু ঘটোনি। কর্ণ সেই সঙ্গে এ-ও জানিয়েছেন, তিনি কিন্তু ভূত-বিশ্বাসী নন।



মন্তব্য চালু নেই