ভোটার ৩ হাজার, ভোট পড়েছে ৬ হাজার

তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে এক জায়গায় ১৯৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। এমন তুঘলকি কাণ্ড ঘটেছে খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাংগা উপজেলার বেলছড়িতে। ওই ইউনিয়নের মোট ভোটার ৩ হাজার ১২৮। কিন্ত সেখানে দেখানো হয়েছে ৬ হাজার ৩৯ অবৈধ (বাতিল) ৯৬ ভোটসহ মোট ভোট পড়েছে ৬ হাজার ১৩৫টি। যা মোট ভোটারের ১৯৬ ভাগ। মাঠ পর্যায় থেকে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আসা প্রাপ্ত ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এটা কিভাবে হলো, আমারও বিশ্বাস হচ্ছে না। বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখতে হবে। তাছাড়া কোনো ইউনিয়নে দ্বিগুন ব্যালট পেপার যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের রিটার্নিং অফিসার শাহ আলম জানান, ওই ইউনিয়নে কতজন ভোটার আছে তা এই মুহূর্তে আমার মনে নেই। কত ভাগ ভোট পড়েছে সেটাও সঠিকভাবে বলতে পারছি না। দেখে বলতে হবে।

এদিকে, নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার চন্দননগর ইউপির ভোটার সংখ্যা ১৯ হাজার ৩১০। এই ইউনিয়নে মোট ভোট পড়েছে ২০ হাজার ৬৯৪টি। যা মোট ভোটারের ১০৭ দশমিক ১৭ ভাগ।

এছাড়া খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গার গোমতী ইউনিয়নে ভোট পড়েছে ৯৮ দশমিক ৫৭ ভাগ। চাপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নে ৯০ ভাগ এবং নীলফামারী ডিমলার পশ্চিমছাতনাই ইউনিয়নে ৯২ ভাগ ভোট পড়েছে। কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নুনখাওয়া ইউনিয়নে ভোট পড়েছে ৯৩ ভাগ। রাজশাহী জেলার তানোড় উপজেলার চান্দুড়িয়া ও সরনজাই, এই দুটি ইউনিয়নেই ভোট পড়েছে ৯০ ভাগ। একই উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নে ভোট পড়েছে ৯১ ভাগ।

ইসির হিসেবে অনুযায়ী, তৃতীয় ধাপে ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশের মধ্যে ভোট পড়েছে ৯৬টি ইউনিয়নে। ৮০ থেকে ৮৫ ভাগের মধ্যে ভোট পড়েছে ১৭৫টি ইউনিয়নে। এই ধাপের চূড়ান্ত ফলাফল অনুযায়ী, ৬১৫টি ইউপিতে ভোট হলেও পাঁচটি ইউপিতে পুন:ভোট করতে হবে। বাকি ৬১০ ইউপিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মোট ৩৯৫টি ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন। এরমধ্যে ৩৬৬টি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ও ২৯ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। বিএনপি জিতেছে ৬০, স্বতন্ত্র ১৩৯, জাতীয় পার্টি ১৪, জাসদ ১ ও জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম ১টি ইউপিতে জয় পেয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই