ভোটের আগেই আ.লীগের সাত মেয়র

দেশের ২৩৪ পৌরসভা নির্বাচনে ভোট নেয়া হবে ৩০ ডিসেম্বর। তবে ভোটের আগেই সাত পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের সাতজন নির্বাচিত হয়ে গেছেন। রবিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন তাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তারা মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত পৌরসভাগুলো হলো গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া, নোয়াখালীর চাটখিল, ফেনীর সদর ও পরশুরাম, জামালপুরের মাদারগঞ্জ, চাঁদপুরের ছেঙ্গারচর এবং পিরোজপুর সদর।

গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া পৌরসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ আহম্মদ হোসেন মির্জা। এ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন টুঙ্গিপাড়া পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফোরকান বিশ্বাস। কিন্তু তথ্যে গরমিল থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার। এর বিরুদ্ধে আপিল করলেও প্রার্থিতা ফিরে পাননি তিনি। এ পৌরসভায় বিএনপির পক্ষ থেকে কেউ মনোনয়নপত্র জমা দেননি।

পিরোজপুর পৌরসভায় গতকাল রবিবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান। এর আগে ২০১১ সালেও তিনি মেয়র হন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। এ পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থী আবদুর রাজ্জাকের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় বাতিল হয়ে যায়। স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান গত বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।

নোয়াখালীর চাটখিল পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনীত মোহাম্মদ উল্লাহ পাটোয়ারী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। বিএনপির মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র মোস্তফা কামাল ও জামায়াত-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ছাইফ উল্লাহ তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

ফেনীর সদরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাজি আলাউদ্দিন এবং পরশুরাম পৌরসভায় নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

জামালপুরের মাদারগঞ্জ পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থী বর্তমান মেয়র মোশারফ হোসেন তালুকদার গতকাল বিকেলে তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। ফলে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী মির্জা গোলাম কিবরিয়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

চাঁদপুরের ছেঙ্গারচর পৌরসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী রফিকুল আলম জজ।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব জেসমীন টুলী রবিবার রাতে গণমাধ্যমকে জানান, প্রত্যাহারের শেষ দিন সাত পৌরসভায় মেয়র পদে একজন করে প্রার্থী ছিলেন। ফলে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় ওই সাত পৌরসভায় আওয়ামী লীগের সাতজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হচ্ছেন। তবে তিনি তখন তাদের নাম-পরিচয় জানাননি।



মন্তব্য চালু নেই