ভোলার তজুমদ্দিনে ৯ টি কমিউনিটি ক্লিনিকের সংস্কার কাজে অনিয়ম এর অভিযোগ

ফজলে আলম, ভোলা প্রতিনিধি: কথা ছিল কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে ওয়ারিং করা মাধ্যমে প্রতিটি ক্লিনিকে ২টি করে ফ্যান,এনার্জি লাইট লাগানোর কথা থাকলে বাস্তবে নেই এর ছিটে ফোটাও। এমনই অবস্থা ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় স্বাস্থ্য বিভাগের ৯ টি কমিউনিটি ক্লিনিকের।

প্রতিটি ক্লিনিকের বিদ্যুৎ সংযোগ সহ এই সব কাজ করানোর জন্য ২০ হাজার টাকা করে বরাদ্ধ থাকলেও উপজেলা স্ব্যাস্থ্য কর্মকর্তা ও হিসাব রক্ষক মিলে নামকাওয়াস্ত কাজ করে পুরো টাকা ভুয়া ভিল ভাউচার করে আত্মসাত করে ফেলেছে।

তবে উপজেলা স্ব্যাস্থ কর্মকর্তা সন্তশ কুমাড় সরকার বলেন,কাজের গুনগত মান রক্ষার জন্য তিনি তার ক্ষমতার বলে কমিউনিটি ক্লিনিকের বিদ্যুৎত সংযোগ এর জন্য ওযারিং এর কাজ করিয়েছি খুব দ্রুত প্রতিটি ক্লিনিকে বাকি কাজ করানো হবে।

আর সিভিল সার্জেন ডা: ফরিদ আহমেদ বলছে ৭ টি ক্লিনিকের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বাকি ২টি দ্রুত সম্পন্ন করা হবে। কাজের গুনগত মান নিয়ে কোন অভিযোগ আসলে প্রশাসনিক ব্যাবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।

সরজোমিনে ঘুরে জানা যায় যে, ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে উপজেলার ৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক এর জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে ওয়ারিং করা মাধ্যমে প্রতিটি ক্লিনিকে ২টি করে ফ্যান,২ করে এনার্জি লাইট লাগানোর জন্য ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়। প্রতিটিতে ক্লিনিকের কাজ করানোর জন্য সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়। যা গত জুন ২০১৬ ইং এর মধ্যেই সম্পন্ন করার কথা থাকলেও তড়িঘড়ি করে শুধু মাত্র কমিউনিটি ক্লিনিক এর ভিতরে ওয়ারিং এর কোনরকম কাজ করে উপজেলা স্ব্যাস্থ্য কর্মকর্তা ও হিসাব রক্ষক ওমর ফারুক মিলে গত জুন মাসে বরাদ্দের পুরো টাকা ভুয়া বিল ভাউচার করে উত্তোলন করে আতসাত করে।

এব্যাপারে তজুমদ্দিন উপজেলার চাদঁপুর ইউনিয়নের আড়ালিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের জমিদাতা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফখরুল আলম জাহাঙ্গির বলেন,শুনলাম সভাপতির সাক্ষর নিয়ে এই কমিউনিটি ক্লিনিক বিদ্যুৎ উন্নয়নের কাজের বিল তুলা হয়েছে। অথচ কাজের ব্যাপারে আমাকে কিছুই যানানো হয়নি। এমনকি কোন কাজ এখানে করানো হয়নি। এর আগেও কমিউনিটি ক্লিনিকের উন্নয়নের জন্য দেড় লক্ষ টাকার বাজেট এসেছিলি সেই বাজেটেরও তেমন কোন কাজ হয়নি যদিও আমাকে বিলে সাক্ষর করতে হয়েছিলো এক রকম বাধ্য হয়ে।
ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সহকারী নুরনবী জানান, এখানে গত বছর ছাদ ও ফ্লোরের সংস্কার ছাড়া তেমন কোন সংস্কার কাজ করা হয়নি। এই ক্লিনিকের টয়লেট ব্যাবহার অনুপোযগী থাকায় এখানে আসা রোগীদের ও দায়িত্বশীল ব্যাক্তিদের অনেক দুভোর্গ পোহাতে হয়।
স্থানীয়রা জানায়, সরকার জনগনের দোড় গোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দেয়ার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করে। এই ক্লিনিকের সংস্কার করার জন্য সরকার এই পর্যন্ত যে বরাদ্ধ দেয় তা কিছু লোকের জোগসাজসে সেই টাকা হরিলুট করা হয়। এমন চলতে থাকলে এই ক্লিনিকগুলো এক সময় ধ্বংস হয়ে যাবে।

তারা আরো বলেন, তজুমদ্দিন উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগের ক্যাশিয়ার ওমর ফারুক স্থানীয় হওয়ার সুবাধে সে বিভিন্ন অনিয়মের সাথে জড়িয়ে পরছে। এলকায় পরিচিত হওয়ায় বিভিন্ন প্রভাব খাটিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের উন্নয়ন ও সংস্কার কাজে আশা প্রকল্প গুলো কাজ না করে আতœসাত করতে সহায়তা করছে।

তজুমদ্দিন উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক নুরনবী জানান, সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোর অন্ধকার দূর করে আলোকিত করার জন্য বিদ্যুৎ এর ব্যাবস্থা করার কথা থাকলে তজুমদ্দিনের কোন কমিউনিটি ক্লিনিকেই সেই কাজের বাস্তবায়ন হয়নি। অর্থ স্ব-স্ব বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা মিলে সেই টাকা আত্মসাত করে ফেলেছে। আর দুভোর্গে পরছে গ্রামের সাধারন রোগীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই অভিযোগ যানায়, তজুমদ্দিন উপজেলায় কমিউনিটি ক্লিনিকের উন্নয়নের জন্য যে বাজেট আসে তার ১০০ ভাগের ১০ ভাগ কাজও করা হয়না।শুধমাত্র কাগজে কলমে লিপিবদ্ধ হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সন্তশ কুমাড় সরকার বলেন, ৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক এর জন্য যে বাজেট এসেছে তা আমার ক্ষমতার মধ্যে কাজ করার ক্ষমতা থাকায় কাজের গুনগত মান ঠিক রাখার জন্য অফিসিয়াল ভাবে আমি নিজেই এই কাজ তধারকি করছি। এখানে দুর্নীতির কোন সুয়োগ নেই। তবে জুন মাসে মধ্যে শেষ করা কথা থাকলেও কাজ করার অর্ডার পেতে দেরী হওয়ায় কাজ গুলো এখনও করা হচ্ছে।

জেলা সিভিল সার্জেন ডা: ফরিদ আহমেদ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সন্তশ কুমাড় সরকার পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেন, ৭ টি ক্লিনিকের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বাকি ২টি দ্রুত সম্পন্ন করা হবে। কাজের গুনগত মান নিয়ে কোন অভিযোগ আসলে প্রশাসনিক ব্যাবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।



মন্তব্য চালু নেই