ভোলার লালমোহনে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি

ভোলার লালমোহনে পূর্ণিমার জো’তে অস্বাভাবিক পানির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় মেঘনার তীরবর্তী বেড়িবাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। ধলীগৌরনগর ও লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের কয়েক জায়গায় বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া তেঁতুলিয়া নদীর গজারিয়া খালগোড়ার সাইড বেড়ি বাঁধ ছুটে গিয়েছে। সেখানে তেঁতুলিয়ার পানি প্রবেশ করে ইটভাটা, মাছের খামারসহ নিন্মাঞ্চল তলিয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লালমোহন উপজেলার পূর্ব পাশে মেঘনার কড়াল গ্রাসে ধলীগৌরনগর ও লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়ন হুমকির মুখে আছে। ধলীগৌরনগর ইউনিয়নকে রক্ষার জন্য ১৩৪.৫ কোটি টাকার প্রকল্প শুরু হলেও গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কাজ বন্ধ আছে। গত রোববার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের পাটোয়ারীর হাট অংশের বেড়িবাঁধ ধসে পড়ে।

এর ফলে বেড়িবাঁধে আশ্রিত মানুষের মাঝে চরম আতংক দেখা দেয়। ধলীগৌরনগর ইউপি চেয়ারম্যান হেদায়েতুল ইসলাম মিন্টু জানান, পূর্ণিমার জোতে পানির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় পাটোয়ারীর হাট অংশে বেড়ি বাঁধ ধস শুরু হয়। সেখান দিয়ে পানি প্রবেশ করার উপক্রম হয়। তাৎক্ষনিক স্থানীয় লোকজন নিয়ে বালুর বস্তা ফেলে ধস ঠেকানোর কাজ করায় কোনক্রমে এলাকাবাসী রক্ষা পেয়েছে।

অন্যদিকে লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিয়া জানান, ফাতেমাবাদ ও চাঁদপুর এলাকায় বেড়িবাঁধ ঝুঁকির মধ্যে আছে। গত শনিবার ফাতেমাবাদ স্লুইজ এলাকায় বেড়ি বাঁধের কিছু অংশ ভেঙ্গে যায়। এর ফলে সেখানকার ৪/৫টি বসত ঘরেরও ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে লালমোহনের পশ্চিমে তেঁতুলিয়া নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের গজারিয়া খাল গোড়া এলাকায় সাইড বেড়ি বাঁধ কয়েক স্থানে ভেঙ্গে গেছে। শনিবার রাতে বাঁধ ভেঙ্গে তেতুঁলিয়ার পানি হু হু করে ডুকে পড়ে। সেখানে পানিতে তলিয়ে গেছে ব্রিক ফিল্ডসহ স্থানীয় একাধিক মাছের খামার। তলিয়ে যাওয়া মাছের খামারের মধ্যে শহিদুল, মাসুদ, কুট্টি মাঝি, ইউনুছসহ বেশ কয়েক জনের রয়েছে। অন্যদিকে বেড়ির নিচে বসবাস করা বাড়ি ঘরও পানিতে তলিয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে লালমোহন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাহিদুজ্জামান খান জানান, পানির চাপে বেড়ি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ধলীগৌরনগরে ভাঙ্গা বেড়ি বাঁধ মেরামতের জন্য ইমারজেন্সীর আওতায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান কাজ করছেন। গজারিয়া খালগোড়ায় ছুটে যাওয়া বেড়ি পানির জন্য কাজ করা যাচ্ছে না। তা মেরামতের জন্য টেন্ডার হয়ে আছে বলেও তিনি জানান।



মন্তব্য চালু নেই