ভোলায় জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে বাড়ি-ঘর, ভাঙ্গনের মুখে ৬১ একর জমি

মনপুরায় জোয়ারে মেঘনার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মূল ভূ-খন্ড ও চরাঞ্চলের শত শত বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে উপজেলার প্রায় কয়েক হাজার মানুষ পানি বন্ধী হয়ে দুর্ভোগে মানবেতর জীবন যাপন করছে। রবিবার মেঘনার পানি বিপদসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় ।

ঘূর্নীঝড় কোমেন ও পূর্নীমার জোয়ারে মেঘনা যেন রাক্ষুসে রুপ ধারন করেছে। মেঘনার ভাঙ্গনে বিলীন হওয়ার পথে চৌধুরী ফিসারিজের ৬১ একরের মৎস্য ঘের। অন্যদিকে উপজেলার সাথে উত্তর সাকুচিয়া ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের যোগাযোগের একমাত্র সংযোগ সড়কটির ১০০শত ফুট ভেঙ্গে গেছে। যে কোন সময় ভেঙ্গে উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারে দুইটি ইউনিয়ন।

মনপুরা থেকে বিচ্ছিন্ন কলাতলীর চর, ঢালচর, চরনিজাম, বদনার চর, চর শামসুদ্দিনে ৩-৪ ফুট জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। কলাতলীরচরের সবচেয়ে উঁচু স্থান আবাসন প্রকল্পও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে।

এতে বিচ্ছিন্ন চরাঞলে বসবাসরত শত শত বাড়ি-ঘর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায়। এই সমস্ত চরাঞ্চলে আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় মানুষ বাধ্য হয়ে ঘরের মধ্যে পানি বন্ধী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এখনও পর্যন্ত কোন সরকারী সাহায্য না পাওয়ায় বন্যা কবলিত মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, মনপুরা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড আন্দিরপাড় এলাকায় প্রায় একশত বাড়ি-ঘর জোয়ারের পানিতে ডুবে রয়েছে। হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসেরহাট, চরমিরয়ম, সোনারচর এলাকা ৩-৪ ফুট এলাকা পানিতে ডুবে শত শত ঘর-বাড়ি ডুবে রয়েছে। উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের আলমনগর এলাকা ৩-৪ ফুট জোয়ারের পানিতে তলিয়ে পানি বন্ধী অবস্থায় দিনযাপন করছে।
স্থানীয়রা জানায়, প্রতি বছর তারা এই সময় জোয়ারের পানিতে ডুবে থাকে। জোয়ারের পানি থেকে রক্ষার জন্য স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সহকারি প্রকৗশলী আবুল কালাম জানান, জোয়ারের পানি হতে এই উপকূলের মানুষকে রক্ষার জন্য শীত মৌসুমে প্রকল্প তৈরী করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এরশাদ হোসেন খান জানান, উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



মন্তব্য চালু নেই