ভোলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্রকরে হামলা, মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে আনোয়ার

ভোলা সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রভাবশালী সাদেকের হামলায় গুরুতর আহত হলেন সদ্য এসএসসি পাশ করা ছাত্র আনোয়ার (১৮)। বুধবার দিবাগত রাত ১১টায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত মঙ্গলবার রাতে রাজাপুর ইউনিয়নের জনতা বাজারের কাছে দেওয়ান বাড়ীর সামনে টর্চ লাইট মারাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সালাউদ্দিন দেওয়ানের জামাই’র ও আনোয়ারের বড় ভাই মোসলেহউদ্দিনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর পর মোসলেহউদ্দিন সালাউদ্দিন দেওয়ানের আত্মীয় সাদেক ও সাবেক মেম্বার রমিজ উদ্দিনের কাছে ঘটনাটি জানালে তারা উভয় পক্ষকে বুধবার রাতে মিমাংসার জন্য স্থানীয় জনতা বাজারে আসতে বলেন। শালিসদারদের কথানুযায়ী মোসলেহউদ্দিন, তার বাবা ও ভাই আনোয়ার বাজরে আসলে সাদেক চৌকিদা সবার সামনে মোসলেহউদ্দিনের বাবাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে মোসলেহউদ্দিনের ছোট ভাই আনোয়ার (১৮) তার বাবর সাথে এরকম আচরেন প্রতিবাদ করলে সাদেক ও তার লোকজন আনোয়ারকে লাথি ও কিল-ঘুুসি মেরে এক পর্যায়ে গুরুতর আহত করে। পরে আনোয়ারের বড় ভাই মোসলেহউদ্দিন ও ভগ্নিপতি হারুন আনোয়ার কে তাদের কাছ থেকে ছাড়িয়ে মুমুর্ষ অবস্থায় এ্যাম্বুল্যান্স যোগে ভোলা সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন।

এ ব্যাপারে আনোয়ারের বড় ভাই মোসলেহউদ্দিন জানায়, সাদেক চৌকিদার আমাদেরকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে মিমাংাসার নামে বাজারে ডেকে এনে লোকের সামনে আমার বাবাকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে এবং মারধর করে। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকেও মারধর করে। সর্বশেষ আমার ছোট ভাই আনোয়ার এগিয়ে আসলে সাদেক ও তার লোকজন আনোয়ারকে বেধরক মারধর করে গুরুতর আহত করেন। পরে আমরা তাদের কাছ থেকে আনোয়ারকে ছাড়িয়ে মূমুর্ষ অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করি। রাতে ভোলা সদর হাসপাতালে তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে ডাক্তার তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

এ ব্যাপারে সাদেকের মোলাইল ফোনে একাধীকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।



মন্তব্য চালু নেই