ভোলা জেলা কনভারজেন্স কো-অর্ডিনেশন কমিটির অর্ধবার্ষিকী সভা অনুষ্ঠিত

ফজলে আলম, ভোলা প্রতিনিধি ॥ ভোলা জেলা প্রশাসন ও ইউনিসেফ এর উদ্যোগে জেলা কনভারজেন্স কো-অর্ডিনেশন কমিটির অর্ধবার্ষিকী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো: মনোয়ার হোসেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিভিল সার্জন মো: ফরিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত জলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: আব্দুল হালিম, ইউনিসেফ এর প্রোগ্রাম অফিসার মো: আব্দুল জলিল, ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার কাজী তোফায়েল হোসেন, চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহি অফিসার মো: রেজাউল করিম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: সাইয়্যাদুজ্জামান, জেলা তথ্য অফিসার মো: নুরুল আমিন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, ভোলার উপপরিচালক মাহমুদুল হক আজাদ, জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সহকরি পরিচালক মো: ইকবাল করিম, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জেবুন্নেছা, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান, জেলা শিক্ষা অফিসের গবেষণা কর্মকর্তা নুরে আলম সিদ্দিকী, বিটিভির জেলা প্রতিনিধি আবু তাহের, জেলা এলসিবিসিই অফিসার মো: মর্তুজা খালেদ, কোস্ট ট্রাস্ট এর সিফোরডি প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী মিজানুর রহমান, উপজেলা এলসিবিসিই অফিসার রুবিনা ইয়াসমিন ও আবু বকর প্রমূখ। সভায় এলসিবিসিই প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা, শিশু বিবাহ নিরোধ কর্মসূচি, ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর পরবর্তী কর্মসূচি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

সভাপতির বক্তৃতায় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো: মনোয়ার হোসেন বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক ও এফডব্লিউসিগুলোতে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের ব্যবস্থা করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি এব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহি অফিসারদের অনুরোধ করেন।

তিনি বলেন, শিশুরা জাতির ভবিষ্যত। তাই তাদের জন্য উন্নয়নমূলক প্রকল্প হাতে নিতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদগুলো ইচ্ছা করলেই এলজিএসপি প্রকল্প থেকে শিশুদের জন্য বরাদ্দ দিতে পারে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, বাল্য বিবাহ সম্পাদনের পরেও অভিভাবকদেরকে আইনের মুখোমুখি করা যায়। আর সেটা করা সম্ভব হলে বাল্য বিবাহের প্রবণতা অনেকাংশে কমে যাবে।

ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার বলেন, এডিপি থেকে যে বরাদ্দ দেয়া হয় সেখান থেকে শিশুদের জন্য প্রকল্প হাতে নেয়া যেতে পারে। তিনি এলসিবিসিই প্রকল্পের আওতায় অভিভাবকদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যাপারে তাগিদ দেন।

চরফ্যাশন উপজেলার নির্বাহি অফিসার বলেন, এলসিবিসিই প্রকল্প একটি ভালো উদ্যোগ। তিনি বলেন, তার উপজেলার একটি ইউনিয়নকে ইতিমধ্যে বাল্যবিবাহমুক্ত ঘোষনা করা হয়েছে। অন্যান্য ইউনিয়নে উদ্যোগটি নেয়া হলে বাল্যবিবাহ অনেকাংশে হ্রাস পাবে।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক বলেন, কাজীরা যদি বিয়ের কার্যাদি সম্পাদনের সময় বর-কণে সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে পারেন তাহলে বাল্য বিবাহরে পরিমাণ কমে যাবে।

ইউনিসেফ এর প্রোগ্রাম অফিসার মো: আব্দুল জলিল বলেন, ভোলা জেলায় ঘুর্ণিঝড় রোয়ানু পরবর্তী বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। সেই সাথে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিরসনকল্পে মনপুরা উপজেলায় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ইউনিসেফ ভোলা জেলার নারী ও শিশুদের উন্নয়নে পরবর্তী ৫ বছর নিবিড়ভাবে কাজ করবে।



মন্তব্য চালু নেই