ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌ-রুটে ফেরি সার্ভিস নতুন করে আবার ফেরিঘাট নির্মাণ

ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌ-রুটে দীর্ঘ আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর ফেরি সাভির্স আবার চালু হতে যাচ্ছে। ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের চডারমাথা নামক এলাকায় ফেরিঘাট নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে ইলিশা জংশন-চডারমাথায় বিআইডব্লিউটিএ এ ফেরিঘাট নির্মান কাজ শুরু করেছে। নতুন করে ঘাট নির্মাণ করায় ওই এলাকার নদী ভাঙ্গন কবলিত কয়েকশ ব্যবসায়ী ও নৌপথে চলাচল করা যাত্রীদের মনে আনন্দ বয়ে নিয়ে এসেছে।

সরেজমিন দেখা যায়, ভোলা পৌরভাসর মাটি কাটার যন্ত্র (ভেকু) দিয়ে মাটি লেবেলের কাজ শুরু করা হয়। সেই সঙ্গে ভাঙন কবলিত ব্যবসায়ীরা নতুন দোকান তুলছেন জংশন-চডারমাথায় (বরিশাল- ভোলা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের) সড়কের দুই পাশে।

দোকান ঘর তোলার কাজে ব্যস্ত সিরাজ, নিজাম খলিফা, গিয়াস সহ একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, গত সাড়ে আট মাস তারা ভাঙ্গনের সঙ্গে যুদ্ধ করছি। ফসলি জমি, বাগানবাড়িসহ সব ভেঙ্গে গেছে মেঘনা নদীতে ফেরিঘাটিও বন্ধ হয়ে গেছে। এখন আবার ফেরিঘাট চালু হলে দোকান দিয়ে তারা সংসার চালাতে পারবেন বলে আশা করছেন অনেক নদী ভাঙ্গন পরিবার।

ট্রলারে ৩ ঘন্টা পাড়ি দিয়ে যাওয়া যাত্রী জলিল ফরাজি বলেন, তিনি চট্টগ্রামে কাজ করেন প্রায়ই তাকে চট্টগ্রাম-ভোলা আসতে হয়। ভোলা-লক্ষ্মীপুরফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনিসহ অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিয়েছেন কয়েক মাস ধরে। এখন ফেরিঘাটের কাজ শুরু হওয়ায় তিনি খুব খুশি।
তাঁর মতো বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ২১ জেলার মানুষের সহজ যোগাযোগ দ্রুত হবে বলে আশা করচ্ছে।

অপরদিকে বর্তমানে অস্থায়ী ভিত্তিতে লক্ষ্মীপুর থেকে ভেদুরিয়া ঘাটে একটি ফেরী পৌছাতে সময় লাগে ৮/১০ ঘন্টা এত বেশি সময় নিয়ে ফেরী চলাচলে যাত্রীরা যেমন কষ্টকর ও বিরক্তি অনুভব করে তেমনি ফেরীর জ্বালানি খরচও অনেক বৃদ্ধি পায় যাহা সরকারি প্রতিষ্ঠান বিআরটিসি’র লোকসান হচ্ছে ।

অন্যদিকে গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায়ভোলা – চট্টগ্রামগণপরিবহন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ভোলা জেলা প্রশাসককে স্বারক লিপি প্রদান কালে জেলা প্রশাসক (যুগ্ন সচিব) মোঃ সেলিম রেজা স্বারক লিপি গ্রহন কালে তিনি বলেছেন ভোলা জেলা ফেরী বাস্তবায়ন কমিটি ও লক্ষ্মীপুর জেলা ফেরী বাস্তবায়ন কমিটির যৌথ উদ্যেগে ফেরী সার্ভিস বাস্তবায়িত হয়েছে। সে ধারাবাহিকতায় দক্ষিনাঞ্চলের ২১জেলার মানুষ সড়ক যোগাযোগের নেটওয়ার্কের আওতায় আসে।

অত্যন্ত অস্থার সাথে মানুষ নিরাপদ যাতায়াতের পথ হিসাবে চট্টগ্রাম থেকে বাস যোগে ভোলা জেলার দক্ষিন প্রান্ত চরফ্যাশন যেতে-আসতে থাকে। ভোলা কৃষির ভান্ডার খ্যাত এ জনপদের কৃষকরা উৎপাদিত পন্যের ন্যায্যমূল্য পেতে কৃষি পণ্য ভোলা থেকে চট্টগ্রাম সহ সারাদেশে রপ্তানি করতে সক্ষম হয়। তিনি আরো বলেন ভোলার গণমানুষের নেতা মাননীয় বাণিজ্য মন্ত্রী জনাব তোফায়েল আহমেদ এমপি’র নির্দেশনায় ফেরি সার্ভিস দ্রুত চালুর করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আমি নির্দেশ দিয়েছি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বরিশাল অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার কবির বলেন, ঠিকাদার ২৪ লাখ টাকার বিনিময়ে মঙ্গলবার ভোলার জংশন-চডারমাথা ফেরি ঘাট নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন। সাপ্তাহ দুই এক সময় লাগবে ঘাট নির্মাণ হতে। তবে ঘাটটি স্থায়ী নয় ভোলা রাজাপুরের জোরখালের মাথায় স্থায়ী একটি ঘাট নির্মাণের জন্য সড়ক ও জনপদকে সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের অনুরোধ করা হয়েছে। সেটি নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে ।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-সংস্থার (বিআইডব্লিটিসি) ভোলা ঘাটের ব্যবস্থাপক আবু আলম হাওলাদার বলেন, ঘাট নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হলে ফেরি চলাচল শুরু হবে। তবে নদী ভাঙন প্রতিরোধ করা জরুরী।



মন্তব্য চালু নেই