মওলানা ভাসানীর প্রতি শেখ হাসিনার কৃতজ্ঞতা

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানালেন দলটির বর্তমান সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে নিজের বক্তব্যে এই কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। দলটির প্রথম সাধারণ সম্পাদক শামসুল হকের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ, জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মনসুর আলী ও কামরুজ্জামানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগকে ধরে রেখেছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ উপমহাদেশের প্রাচীনতম সংগঠনগুলোর মধ্যে অন্যতম। বাঙালি হিসেবে বিশ্ব মর্যাদায় আসন পাওয়ার পেছনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্জনের কথাও তুলে ধরেন তিনি।

এর আগে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি শান্তির প্রতীক পায়রা উড়ান।

এরপর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদের উপস্থাপনায় পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার কে এম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশিমের নেতৃত্বাধীন বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের একটি অংশের নেতাকর্মীরা প্রতিষ্ঠিত করেন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ।

দলের প্রথম সভাপতি হন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। সাধারণ সম্পাদক হন শামসুল হক। দলের প্রথম তিনজন যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন – শেখ মুজিবুর রহমান, খোন্দকার মোশতাক আহমদ ও এ কে রফিকুল হোসেন।

১৯৫৫ সালের ২১-২৩ অক্টোবর সংগঠনের তৃতীয় কাউন্সিল সভায় দলের নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়।



মন্তব্য চালু নেই