মঙ্গলগ্রহ অভিযান শেষে পৃথিবীতে ফেরার পদ্ধতি কি?

মঙ্গলগ্রহে অভিযানের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসা’। কিন্তু এ প্রস্তুতির অধিকাংশ জুড়েই রয়েছে সেখানে অবতরণ, গবেষণা, জীবনধারণ ইত্যাদি বিষয়। কিন্তু সেখান থেকে পৃথিবীতে ফেরত আসার পদ্ধতি কি হবে তা এখনও অস্পষ্ট। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক।

দূর নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের সাহায্যে মানুষের মঙ্গল অভিযান শুরু হয় বহুদিন আগেই। ১৯৬৫ সালে মেরিনার ৪ মহাকাশযান প্রথম মঙ্গল গ্রহ অভিযানে যায়। এই অভিযানের পর থেকে অনেকেরই ধারণা করে আসছিলেন যে মঙ্গলে তরল পানির অস্তিত্ব আছে। সম্প্রতি বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞানীদের উৎসাহ অনেকাংশে বেড়ে গেছে। মঙ্গলে বিভিন্ন সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, এবং জাপানের পক্ষ থেকে মঙ্গল অভিমুখে ডজনখানেক নভোযান পাঠানো হয়েছে যার মধ্যে অরবিটার, ল্যান্ডার এবং রোভার সবই ছিল। অভিযানগুলোর উদ্দেশ্য ছিল মঙ্গলের ভূত্বক, জলবায়ু এবং ভূতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করা।

মঙ্গলে পাঠানো নভোযানগুলোর মধ্যে অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ তাদের উদ্দেশ্য সাধনে ব্যর্থ হয়েছে। অনেকগুলো অভিযান ঠিকমতো শুরু করার আগেই স্তব্ধ হয়ে গেছে। মূলত কৌশলগত সমস্যার কারণেই এই ব্যর্থতাগুলোর উৎপত্তি। অধিকাংশের সাথে মাঝপথে যোগাযোগ নষ্ট হয়ে গেছে। যোগাযোগ নষ্টের কারণ জানা যায়নি, অনেকগুলোর কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা এখনও চলছে।এ পরিস্থিতিতে পরিকল্পনা করা হয়েছে সরাসরি মানুষবাহী যান মঙ্গলে পাঠানোর। এ ক্ষেত্রে গবেষকদের ভাবতে হচ্ছে, অভিযানের স্থায়িত্ব এবং মঙ্গল গ্রহ থেকে বের হয়ে আসার উপায় নিয়েও। কারণ মঙ্গল গ্রহে অবতরণ যতটা কঠিন, তার থেকে অনেক বেশি কঠিন সেখান থেকে পৃথিবীতে ফেরত আসা। এ ক্ষেত্রে মানুষের মঙ্গল অভিযানের অনেক বিষয় নির্ভর করছে গুরুত্বপূর্ণ এ প্রশ্নটির উত্তরের ওপর, যা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।



মন্তব্য চালু নেই