মদনে একটি সেতুর অভাবে দুই উপজেলার লক্ষাধিক লোকের দূর্ভোগ

মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : সয়েল টেষ্ট করার এক বছর পার হলেও সেতু নির্মাণ না হওয়ায় মদন উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন এবং কিশোরগঞ্জের একটি ইউনিয়নের হাজার হাজার লোক প্রতিদিন ছোট ফেরি নৌকা দিয়ে নদী পারাপারে সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন। নেত্রকোনার মদন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ধানকুনিয়া গ্রামের পাশের্^ মদন-তাড়াইল ২৬ কি:মি: সংযোগ সড়কের বর্নি নদীর ওপর গুরুত্বপূর্ন এই সেতুটি নির্মাণ না হওয়ায় এ সব এলাকার লোকজন ঢাকা,সিলেট,চট্ট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার সাথে ৬০ কি:মি: পথ ঘুরে যোগাযোগ রক্ষা করতে হচ্ছে। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থাহীনতার কারণে সম্ভাবনাময় মৎস্য ও কৃষিতে সমৃদ্ধ এই অঞ্চলের লোকজন তাদের জীবন-জীবিকার উন্নয়নে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হচ্ছে। অথচ এই এলাকার কৃষকরা ধান,পাট,সরিষা,শাকসবজি ও প্রচুর মাছ চাষ করে থাকে কিন্ত যাতায়াত ব্যবস্থার অভাবে তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় এ দূরাবস্থা নিরসন হচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার স্বরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘাটের দু’পারে অনেক লোকের সমাগম, রিক্সা, সাইকেল,মোটর সাইকেল ছোট ফেরিতে উঠতে ঠেলাঠেলি যুদ্ধে লিপ্ত হতে হয় । এতে প্রায়শই ফেরি ডুবে দূর্ঘটনার কবলে পড়ছেন যাত্রীগন । একটু বৃষ্টি হলেই দূর্ভোগের যেন শেষ নেই। কাঁদা মাটি যেন তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। এই সেতুটি নির্মাণ হলে দু’পারে লক্ষাধিক লোকের দূর্ভোগ লাঘব হবে এবং কৃষকগণ অর্থনৈতিক উন্নয়নে যুগান্তকারী সুযোগ লাভ করবে। ওই এলাকার প্রতিটি লোকের এখন একটাই দাবি অনতি বিলম্বে সেতুটি নির্মাণ করা হোক।

ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম চৌধুরী জনান, এই ব্রিজটি নির্মাণ না হওয়ায় মৎস্য ও কৃষিতে সমৃদ্ধ এ এলাকার শতশত কৃষক মাছ ও ফসল চাষ করেও অর্থনৈতিক ধৈন্যতায় ভুগছে। এক বছর আগে ব্রিজ এলাকার মাটি পরীক্ষা করা হলেও টেন্ডার না হওয়ায় এ অবস্থায় রয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ শাহেদ হোসেন জানান, মদন-তাড়াইল সংযোগ সড়কের গুরুত্বপূর্ন বর্নি নদীর ব্রিজটি দ্রুত নির্মাণ করার লক্ষে গ্রামীন সড়কে দীর্ঘ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা হয়েছে এবং ১শ ৪০মিটার দীর্ঘ এ সেতুর যাবতীয় প্রাক্কলন তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরন করা হয়েছে। আদেশ পেলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।



মন্তব্য চালু নেই