মদনে প্রেমিক যুগল আটক

মদন (নেত্রকোনা) : সোমবার সন্ধ্যায় মদন থানা পুলিশ মদন দক্ষিনপাড়ার সড়ক থেকে প্রেমিক প্রেমিকাকে আটক করেছে। উভয়পক্ষ বিয়েতে রাজি না হওয়ায় দুজনকেই থানা হাজতে রাখা হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জেলার মদন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ছত্রকোনার আতিক খানের কন্যা গার্মেন্টসকর্মী পপি আক্তার(২৬) পাশর্^বর্তী তিয়শ্রী ইউনিয়নে কাওয়ালীবিন্নী গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে বালালী বাঘমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র মোফাজ্জল হোসেনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে মন দেয়া নেয়া চলছিল। সোমবার সন্ধ্যায় প্রেমিক যুগল পূজা দেখতে বাড়ী থেকে বের হয়ে মদন দক্ষিন পাড়া সড়কে আসে। প্রেমিকা পপি আক্তার প্রেমিক মোফাজ্জলকে বিয়ে করার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে প্রেমিক অপারগতা প্রকাশ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রেমিকা উচ্চ কন্ঠে তাকে গালিগালাজ করতে থাকে। এ সময় পথচারীরা তাদেরকে আটক করে থানায় খবর দেয়। পুলিশ প্রেমিক-প্রেমিকাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

এ ব্যাপারে প্রেমিক মোফাজ্জল জানান, ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে আমাকে এখানে ফাঁসানো হয়েছে। প্রেমিকা পপি আক্তারকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, আমি চট্টগ্রামে গার্মেন্স এ চাকুরী করি। বিয়ের কথা বলে সে আমাকে বাড়ীতে নিয়ে আসে। এখন আমাকে বিয়ের কথা অস্বীকার করায় থানায় আসতে হয়েছে।

এ ব্যাপারে মেয়ের চাচা আবুল কাশেম খান জানান, সোমবার বিকাল থেকে আমার ভাতিজি গার্মেন্টে কর্মী পপিকে বাড়ীতে খোঁজে পাওয়া যায়নি। রাতে থানায় আটক আছে জানতে পারি। প্রেমিকের মামা মোস্তফা জানান, আমার ভাগ্নে দশম শ্রেণীর ছাত্র। সে এমন কাজ করতে পারে না। তাকে ফাঁসানো হয়েছে।

মদন থানার ওসি মোঃ মাজেদুর রহমান জানান, জনগনের সংবাদের প্রেক্ষিতে সোমবার রাতে মদন দক্ষিনপাড়া সড়ক থেকে যুগল প্রেমিক মোফাজ্জল ও প্রেমিকা পপিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে তারা থানা হাজতে রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই