‘মনে হচ্ছিল খুন, সন্ত্রাস, বড় অপরাধ করেছি’

২০১১ সালে ভারতের ২৮ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ১৯৮৩ সালে কপিল দেবের পর ভারতকে ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা এনে দিয়েছিলেন তিনি।

কিন্তু তার চার বছর আগে ২০০৭ সালে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল ধোনিকে। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল ভারতকে।

তখন ভারতীয় দলের নেতৃত্বে ছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। ধোনি ছিলেন সেই দলের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। দ্রাবিড়ের পর ভারতীয় দলের দায়িত্ব পেয়ে যান ধোনি। এরপর টিম ইন্ডিয়াকে নিজের মতো করে সাজিয়ে চার বছরের মধ্যে ওয়ানডে সেরার মুকুট পরান ধোনি।

তবে ২০০৭ সালে কী এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছিল, যার কারণে বিশ্বকাপ জয়ের জেদ এতটা চেপে বসেছিল ধোনির ওপর? দীর্ঘদিন পর ধোনি সেই বিষয়ে মুখ খুললেন।

ধোনি বলেন, ‘বিশ্বকাপ (২০০৭) থেকে ছিটকে যাওয়ার পর যখন আমরা দিল্লিতে পৌঁছালাম সেখানে অনেক মিডিয়ার উপস্থিতি। অনেকেই মনে করেছিল আমরা কী হারিয়েছে সেই অনুভূতি আমার মধ্যে কাজ করছে না! কিন্তু আমার সব সময়ই মনে হয়েছে, একজন ক্রীড়া ব্যক্তি হিসেবে আপনাকে এমনভাবে শক্ত হতে হবে যেন আপনি পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন। এটা এমন না যে আপনাকে সংবাদ সম্মেলনে যেতে হবে, সতীর্থদের জন্য কাঁদতে হবে কিংবা মাঠে কী হয়েছে তার জন্যও কাঁদতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘দিল্লিতে নামার পর আমাদেরকে পুলিশ ভ্যানে তোলা হয়। আমি বীরু (বীরেন্দর শেবাগ), পাজ্জির (হরভজন সিং) সামনে বসেছিলাম। তখন সন্ধ্যা কিংবা রাত ছিল। আমাদের গাড়ি ৬০-৭০ কি.মি. গতিতে যাচ্ছিল; যেটা ভারতের সরু রাস্তায় প্রায় অসম্ভব একটি কাজ। এবং আমাদের গাড়ির পেছন পেছিন মিডিয়ার গাড়ি, তাদের ক্যামেরা, লাইট আমাদের অনুসরণ করছিল। দেখে মনে হচ্ছিল, আমরা বড় কোনো অপরাধ করেছি, হয়তো খুন, সন্ত্রাস কিংবা অন্য কোনো বড় অপরাধ করেছি। আমরা আসলে তাদের ধাওয়া খেয়েছি।’

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর মহেন্দ্র সিং ধোনির বায়োপিক ‘এমএস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ সারাবিশ্বের মুক্তি পাবে। নিউইয়র্কে ফক্স বিল্ডিংয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠানে ২০০৭ বিশ্বকাপের পর ভারতে অপ্রীতিকর ঘটনার বর্ণনা দেন ধোনি। নিজের বায়োপিক নিয়ে ধোনি বলেন, ‘এটা খুব সাধারণ একটা গল্প। আমি নিরাজকে (পরিচালক) একটি কথাই বলেছি যে, গল্পটাকে সাধারণ করেই তুলে ধরতে।’

বায়োপিকে ধোনি চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুশান্ত সিং রাজপুত। বায়োপিকে ধোনির স্ত্রী সাক্ষীকেও অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক। ধোনির অর্জনের পেছনে তার ভূমিকার কথা বারবারই প্রকাশ পেয়েছে বায়োপিকে।



মন্তব্য চালু নেই