মন্ত্রিসভায় আসছে নতুন ৭ মুখ, কাল শপথ

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে মন্ত্রিসভায় ব্যাপক রদবদল আসছে। এর মধ্যে সাত জন নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।

মন্ত্রিসভায় নতুন নিয়োগ পাওয়া দু’জনের নাম নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ পূর্ণমন্ত্রী এবং নুরুল ইসলাম বিএসসিকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হবে। বাকিদের ব্যাপারে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।

আগামীকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের শপথ বাক্য পাঠ করানো হবে।

এদিকে, মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে যাচ্ছেন এমন আরো কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে। এরা হলেন- সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বাহাউদ্দিন নাছিম।

অন্যদিকে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলা খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলীকে মন্ত্রিসভা থেকে বিদায় দেয়া হচ্ছে বলে গুঞ্জন উঠেছে।

মন্ত্রিত্ব প্রত্যাশী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি সোমবার রাতে বলেন, ‘লিস্ট তো ছিল। কিন্তু এখনো তো কল পাইনি।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক সময়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ড. হাছান মাহমুদ সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সমালোচনায় সরব রয়েছেন।

ডা. আব্দুর রাজ্জাক গত মেয়র নির্বাচনে সাঈদ খোকেনের নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন। তার পারফরমেন্সে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী খুশি বলে জানা গেছে।

এছাড়া লতিফ সিদ্দিকী মন্ত্রিত্ব হারানোর পর টাঙ্গাইলের কোটায় তার মন্ত্রিত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হয়েছে।

আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না। আমি গ্রামে রয়েছি সাধারণ মানুষের সেবায়। আমি এসব থেকে অনেক দূরে আছি।’

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এ ব্যাপারে বলেন, ‘এসব (মন্ত্রী নিয়োগ) প্রধানমন্ত্রীর ব্যাপার। আমি গ্রামে আছি।’ হাছান মাহমুদ, ডা. দীপু মনি ও ড. আব্দুর রাজ্জাকের নাম বললে তিনি মন্তব্য করেন, ‘তারা তো আগেও ছিলেন। আবার হলে মন্দ কী!’

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, ‘মন্ত্রিসভার রদবদল- এটা আসলে স্বাভাবিক নিয়ম বা প্রক্রিয়া। সংসদীয় গণতন্ত্রে সিস্টেমটাই এরকম। বাজেটের পর সরকার সাধারণত মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের রদবদল করে থাকেন। এটা নিয়ে বেশি চিন্তার কারণ নেই।’

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে জানান।

দলও মন্ত্রণালয় পরিচালনায় নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে দপ্তরবিহীন করা হয়। তার জায়গায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে।

সৈয়দ আশরাফ মন্ত্রিত্ব হারানোর ঘটনায় আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মী অবাক হয়ে যান। কেবল আওয়ামী লীগের লোকজনই নন, সাধারণ মানুষও ওই ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করেন। তাদের প্রত্যাশা ছিল বাদের তালিকায় আগে থাকবেন বিতর্কিতরা।

এদিকে, বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলা খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলীকে মন্ত্রিসভা থেকে বিদায় দেয়া হচ্ছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের ভাগ্যেও শনি দেখা দিতে পারে। রাজশাহীর বাঘার এই এমপির বিরুদ্ধে জামায়াত সমর্থক নেতাকর্মীদের চাকরি দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। বাংলাভাইয়ের উত্থান ঘটেছিল রাজশাহীর বাঘা থেকেই।বাংলামেইল



মন্তব্য চালু নেই