মন্ত্রীও পারছেন না বিআরটিএ দালালমুক্ত করতে

মন্ত্রীর বারবার পরিদর্শনেও বিআরটিএ-তে দালাল-ঘুষখোরদের দৌরাত্ম কমেনি বলে অভিযোগ সেবা নিতে আসা মানুষদের।

তবে আরেক দফা পরিদর্শনে গিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী দাবি করলেন, আগের তুলনায় হয়রানি ও দালালদের দৌরাত্ম কমেছে। নতুন কিছু পদক্ষেপের কথাও জানিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএতে গাড়ির লাইসেন্স, ফিটনেসসহ বিভিন্ন কাজে হরহামেশাই হয়রানির শিকার হচ্ছেন মানুষ। গ্রাহক হয়রানি, দালালসহ বেশকিছু অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিআরটিএ ঝটিকা পরিদর্শন করেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মন্ত্রীকে সামনে পেয়ে ঘিরে ধরেন গ্রাহকরা। জানান তাদের হয়রানির কথাও। এসব সংকটে লোকবল আর কর্মকর্তাদের মানসিকতাকে দায়ী করলেন মন্ত্রী।

বলেন, আগে যে পরিমাণ হয়রানি ছিলো তার চেয়ে কিন্তু এখন একটু কমেছে। এখানে দালালদের দৌরাত্ন আছে। আজকেও প্রায় ১৪-১৫ টি কমপ্লেইন করেছে। আমি ম্যাজিস্ট্রেটকে বলেছি আজকেই এগুলোর সমাধান করতে হবে।

তবে দালালদের বেশিরভাগ সরকারদলীয় কর্মী কিনা এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা, এমন প্রশ্ন ছিল গণমাধ্যমের।

জবাবে তিনি বলেন, সবাই দলীয় লোকজন না। আমরা বিষয়টি বারবার খতিয়ে দেখেছি। এবং যেসব নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আজ দেখে গেলাম এরপর যার সঙ্গে আলোচনা করার করবো।

এরইমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চলছে গাড়ির ডিজিটাল ফিটনেস পরীক্ষা। এটি পুরোপুরি চালু হলে এক ঘণ্টায় ১৫টি গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষা করা যাবে। এক সপ্তাহের মধ্যে এটি পুরোপুরি চালু করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।



মন্তব্য চালু নেই