মসুল পুনরুদ্ধারে ইরাকের অভিযান শুরু

ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কাছ থেকে ইরাকের মসুল শহর পুনরুদ্ধারের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট হায়দার আল আবাদী। ইতোমধ্যে পুনরুদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

মসুল ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর যেটা এখনও আইএসের দখলে রয়েছে। সরকারি বাহিনী ২০১৪ সালে সেখান থেকে প্রত্যাবর্তন করলে মসুল আইএসের দখলে চলে যায়।

আবাদী বলেছেন, ‘সময় এসেছে এবং মহান বিজয় সন্নিকটে।’

স্থানীয় সশস্ত্র জাতিগোষ্ঠী, সেনাবাহিনী এবং যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বিত বিমান হামলার মাধ্যমে ব্যাপক আক্রমণের মাধ্যমে মসুল পুনরুদ্ধারের অপেক্ষায় রয়েছেন ইরাকী প্রেসিডেন্ট।

আক্রমণের পূর্বে মার্কিন বাহিনীর মুখপাত্র ব্রেট ম্যাগ্রুক এক টুইট বার্তায় লিখেন, ‘একটা ঐতিহাসিক অভিযানে অংশ নিতে পেরে আমরা গর্বিত।’

মসুলের পূর্বে অবস্থিত খাজির এলাকা থেকে আল-জাজিরার সংবাদদাতা জেনিয়া খোদর জানান, ‘আইএসের নিয়ন্ত্রণে থাকা শহরটিতে প্রায় ১০ লাখ মানুষের বসবাস। ব্যাপক আক্রমণের লক্ষ্যে মসুলের চারিদিকে সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে।’

‘সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি মার্কিন যৌথ বাহিনী বিমান আক্রমণের মাধ্যমে শহরের স্থলভাগের চারিদিকে ঘিরে থাকা আইএসের ক্যাম্পগুলো ধ্বংস করে অভিযান সহজ করবে।’— বলেন খোদর।

তিনি বলেন, তবে আইএসের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান শুরুর বিষয়টাই এখন মূখ্য এবং এটা খুব জটিল। কারণ, এটা দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ হতে পারে। অথবা আইএস যুদ্ধ প্রত্যাখান করতে পারে। আসলে এটা বলা কঠিন। কারণ, এটা কঠিন একটা যুদ্ধক্ষেত্র এবং অভিযান।

অভিযান শুরুর আগে ইরাকের যুদ্ধ বিমান থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় হাজার হাজার লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে যাতে এলাকার বাসিন্দারা নিরাপদে থাকতে পারেন।

গত দুই বছর ধরে ইরাকী সেনাবাহিনী মসুল পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। তবে রাজধানীর নিরাপত্তা রক্ষার্থে তারা এমন সিদ্ধান্ত নেয়নি। সূত্র : আল-জাজিরা।



মন্তব্য চালু নেই