মহররম ও আশুরায় করণীয় আমল

হিজরি বর্ষের প্রথম মাস মহররম। আরবি বারটি মাসের মধ্যে যে চারটি মাসকে সম্মানিত বলে কোরআন শরিফ ও হাদিস শরিফে ঘোষণা করা হয়েছে, মহররম মাস তার মধ্যে অন্যতম।

আসমান-জমিন সৃষ্টিকাল হতেই এ মাসটি বিশেষভাবে সম্মানিত হয়ে আসছে। এ মাসেরই দশ তারিখ অর্থাৎ ১০ই মুহাররম ‘আশুরা’ দিনটি বিশ্বব্যাপী এক আলোচিত দিন। সৃষ্টির সূচনা হয় এই দিনে এবং সৃষ্টির সমাপ্তিও ঘটবে এ দিনেই। বিশেষ বিশেষ সৃষ্টি এ দিনেই করা হয় এবং বিশেষ বিশেষ ঘটনা এ দিনেই সংঘটিত হয়। তাই এই দিনে আমাদেরকে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কিছু আমল করণীয় হয়ে থাকে।

মহররম মাসের করণীয় আমল:

রমজান মাসের পর সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ রোজা হচ্ছে মহররম মাসের রোজা, তাই সাধ্য অনুযায়ী মহররম মাসজুড়ে বেশি বেশি রোজা রাখতে চেষ্টা করা।

বিশেষভাবে আশুরার দিন রোজা রাখা। এর অনেক ফজিলত ও গুরুত্ব এসেছে হাদিস শরিফে। এর মাধ্যমে বিগত এক বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে মনে রাখা প্রয়োজন, কোরআন ও হাদিসে যত জায়গায় এরকম বিভিন্ন আমলের মাধ্যমে গুনাহ মাফ হওয়ার কথা বলা হয়েছে, এগুলো সগিরা গুনাহ বা ছোট ছোট গুনাহ। কারণ কবিরা গুনাহর ক্ষেত্রে শরিয়তের বিধান হচ্ছে এর জন্য খাঁটি মনে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে তওবা করতে হবে। তওবা ছাড়া কবিরা গুনাহ মাফ হয় না।

কারও হক নষ্ট করে থাকলে সেই ব্যক্তিকে তার পাওনা হক ফিরিয়ে দিতে হবে অথবা তার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে অন্যথায় তা আল্লাহও মাফ করবেন না। বান্দার হক বলতে শুধু পাওনা অর্থকড়ি বা সম্পদ নয়, এক্ষেত্রে কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকলে অথবা কারও অগোচরে তার নিন্দা করে থাকলে এগুলোও হক নষ্ট করার অন্তর্ভুক্ত হবে।

ওলামায়ে কিরাম বলেন, আশুরার আগে অথবা পরে অর্থাৎ ৯-১০ বা ১০-১১ তারিখে একসঙ্গে দুটি রোজা রাখা উত্তম। তবে এটি মুস্তাহাব। যদি কেউ দুটি রাখতে সক্ষম না হয় এবং কেবল একটি রোজাও রাখে, তাহলে সেও সাওয়াব থেকে বঞ্চিত হবে না অথবা একটি রোজার কারণে গুনাহগারও হবে না। তবে উত্তম হচ্ছে দুটি রোজা রাখা।

এ দিনে আল্লাহতায়ালা পূর্ববর্তী উম্মতের তাওবা কবুল করেছেন এবং উম্মতকেও ক্ষমা করার প্রতিশ্রুতিও হাদিস শরিফে এসেছে। তাই এ দিনে আল্লাহর দরবারে বেশি বেশি ইস্তিগফার করা এবং পবিত্র মনে তাওবা করা উত্তম।



মন্তব্য চালু নেই