মহাকাশে যাওয়ার সূবর্ণ সুযোগ!

আপনি কি লাল গ্রহ মঙ্গলে যেতে চান? আপনি কি মহাকাশে গিয়ে রোমাঞ্চ অনুভব করতে চান? তবে আপনার জন্য সুখবর। এসে গেলো মহাকাশে যাবার সূবর্ণ সুযোগ। আর দেরি না করে এখনই মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বরাবর আবেদন করুন। কেননা, ডিসেম্বরের ১৪ তারিখ থেকে আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত আপনি দু’মাস সময় পাচ্ছেন নাসায় আবেদনপত্র পাঠানোর জন্য।

আবেদনপত্র পাওয়া যাবে নাসার পোর্টালেই। যার ঠিকানা- ‘ডব্লিউডব্লিউডব্লিউ ডট ইউএসএজবস ডট গভ’। আবেদনের ভিত্তিতে আগ্রহীদের ডাকা হবে ইন্টারভিউয়ের জন্য। দিতে হবে শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা। চুক্তির ভিত্তিতে নাসা নতুন মহাকাশচারীদের নিয়োগ করবে ২০১৭ সালের গোড়ার দিক থেকেই।

প্রচুর মহাকাশচারী লাগবে নাসার। আর সেই মহাকাশচারীদের হয়তো খুব অল্প দিনের মধ্যেই নাসার ‘ওরিয়ন’ ক্যাপসুলে চড়ে পাড়ি জমাতে হবে মহাকাশে। তাদের কোনও বাণিজ্যিক মহাকাশযানে চেপেও যেতে হতে পারে মহাকাশে।

মোদ্দা কথাটা হল, নাসার হাতে এখন রয়েছে মাত্র ৪৭ জন মহাকাশচারী। পনেরো বছর আগেও ছিল ১৪৯ জন। সংখ্যাটা কমতে কমতে যেহেতু এখন তা এক-তৃতীয়াংশে পৌঁছেছে, তাই চিন্তা বেড়ে গিয়েছে নাসার। কারণ, আর বছর দু’য়েকের মধ্যেই নাসাকে প্রচুর মহাকাশচারী পাঠাতে হবে মহাকাশে। তাদের পাঠাতে হবে মঙ্গলে। পাঠানো হতে পারে মঙ্গল আর বৃহস্পতির মাঝামাঝি জায়গায় থাকা নক্ষত্রপুঞ্জেও।

নতুন মহাকাশচারীদের পাঠানো হতে পারে আরও দূর মহাকাশেও। এই সৌরমন্ডলের একেবারে শেষ প্রান্তে বা তা ছাড়িয়ে গিয়ে আমাদের ‘মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সি’র অন্য কোনও সৌরমন্ডলের কাছাকাছি বা, অন্য কোনও গ্যালাক্সিতে!

এই নতুন শতাব্দীর তিরিশের দশকের মধ্যে মহাকাশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে বিভিন্ন গন্তব্যে প্রচুর মহাকাশচারী পাঠাতে হবে নাসাকে। যেতে হবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) বা হাবল স্পেস স্টেশনেও। তার জন্য নাসা কাল সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়েছে।

নাসার মহাকাশচারী হতে গেলে কী কী যোগ্যতা লাগবে আগ্রহীদের?

প্রথমত, তাদের মার্কিন নাগরিক হতে হবে। দ্বিতীয়ত, তাদের ইঞ্জিনিয়ারিং, জীববিজ্ঞান, গণিত, পদার্থবিদ্যা বা রসায়নশাস্ত্রে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি থাকতে হবে।
তৃতীয়ত, আগ্রহীদের টানা তিন বছর মূল পাইলট হিসাবে জেট বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। থাকতে হবে পাইলট হিসাবে কম করে এক হাজার ঘণ্টা আকাশে ওড়ার অভিজ্ঞতা।

এই সব কিছু থাকলে আগ্রহীদের মহাকাশচারী হওয়ার জন্য ইন্টারভিউয়ে ডাকা হবে। তার পর তাদের বসতে হবে শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষায়। দীর্ঘ দিন মহাকাশে কাটানোর জন্য জটিল শারীরিক পরীক্ষা নেবে নাসা।

১৯৫৯ সালের পর এখনও পর্যন্ত তিনশোরও বেশি দক্ষ মহাকাশচারী নিয়োগ করেছে নাসা।



মন্তব্য চালু নেই