মহিষকে লাঠিপেটা করায় দুই যুবকের আঙুল কর্তন

ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে মহিষকে লাঠিপেটা করায় দুই যুবকের হাতের আঙুল কেটে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। বুধবার রাতে পটুয়াখালী সদর উপজেলার পূর্ব আউলিয়াপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আউলিয়াপুর গ্রামের মো. মাইনউদ্দিন (২৮) ও মো. হাবিবুর রহমান (২৫) তাদের জমির ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া জন্য রাস্তায় স্তূপ করে রাখেন।

সন্ধ্যায় একই এলাকার প্রতিবেশী আলম হাওলাদার তার মহিষের পাল নিয়ে ওই রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তখন মহিষগুলো বেশ কিছু ধান খেয়ে ফেলে। এতে ধানের মালিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে মহিষগুলোকে লাঠিপেটা করে।

এ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি এবং একপর্যায়ে উভয়পক্ষ সংর্ঘষে জড়ায়। মহিষকে লাঠিপেটা করায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে মাইনউদ্দিনের বাম হাতের তিনটি আঙুল এবং হাবিবের দুই হাতের দুই আঙুল কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেয় আলম হাওলাদার এবং তার লোকজন।

এ সময় হাবিরের বৃদ্ধা মা জাহানারা বেগম, চাচাতো ভাই রুবেল প্যাদা, রাসেল প্যাদা প্রতিপক্ষের ধারাল অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন। রাতেই আহতদের পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মাইনউদ্দিন, হাবিব ও জাহানারা বেগমকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুল ইসলাম বলেন, মারামারির ঘটনা আমি শুনেছি। থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।



মন্তব্য চালু নেই