মাইগ্রেন প্রতিরোধের জন্য খেতে পারেন যে খাবারগুলো

মাইগ্রেন একধরনের তীব্র মাথা ব্যথা। সাধারণত মাথার একপাশে এই ব্যথা হয় এবং এর সাথে বমি বমি ভাব ও আলোক সংবেদনশীলতাও থাকে। মস্তিস্কের নার্ভের প্রবাহের অস্থায়ী পরিবর্তনের ফলে এটা হয়। স্নায়ুকোষের প্রদাহী পরিবর্তনের ফলে ব্যথা উৎপন্ন হয়। কেউ কেউ মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হওয়ার পূর্বে আলোর ঝলকানি দেখতে পান এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে অস্বস্তিকর অনুভূতি টের পান। কারো কারো ক্ষেত্রে খাদ্যের অস্বস্তিও হয় এবং কেউ কেউ মাইগ্রেনের পূর্বে বিষণ্ণতা অনুভব করেন। এই ব্যথা ও উপসর্গগুলো কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েকদিন পর্যন্ত থাকতে পারে। সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেলে এবং সেইসাথে এডিটিভস যেমন- মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট ও কৃত্রিম মিষ্টিকারক যেমন- এস্পারটেম যুক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলে মাইগ্রেন হতে পারে। তেমনি কিছু খাবার আছে যা মাইগ্রেনে ভুগছেন এমন মানুষদের প্রায়ই খাওয়া উচিৎ। এমন কিছু খাবারের কথাই আজ আমরা জেনে নেব যা মাইগ্রেন প্রতিরোধ করতে পারে।

১। ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার
উচ্চ ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার সব ধরণের মাইগ্রেন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এই খনিজ উপাদানটি মহিলাদের জন্য বিশেষ উপকারী। ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার হচ্ছে- পালংশাক, মিষ্টিআলু, সাদা আলু, সূর্যমুখীর বীজ, বাদামী চাল এবং আস্ত শস্য।

২। রিবোফ্লাভিন
রিবোফ্লাভিন ভিটামিন বি২ নামে পরিচিত যা কোষীয় পর্যায়ে শক্তি উৎপন্ন করতে প্রয়োজনীয়। রিবোফ্লাভিন সমৃদ্ধ খাবার গুলো হচ্ছে- চর্বিহীন গরুর মাংস, আস্ত খাদ্য শস্য, ফরটিফাইড সিরিয়াল ও ফ্যাট ফ্রি দুধ, মাশরুম, ব্রোকলি ও পালংশাক ইত্যাদি।

৩। হেলদি ফ্যাট
কিছু ফ্যাট সমৃদ্ধ খাদ্য প্রদাহ কমতে সাহায্য করে। ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড যা চর্বিযুক্ত মাছে থাকে এবং মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট যা অলিভ অয়েলে থাকে যা মাথাব্যথার তীব্রতা ও স্থায়িত্ব কমায়।

৪। পানি
পানি সত্যি এমন একটি পুষ্টি উপাদান যা শারীরিক কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য অত্যাবশ্যকীয় এবং পানিশূন্যতা মাইগ্রেনের ব্যথাকে বৃদ্ধি করে দিতে পারে। মাইগ্রেনে যারা ভুগছেন তাদের তরল গ্রহণের প্রতি মনযোগী হতে হবে। হাইড্রেটেড থাকার জন্য পানি পান করা হচ্ছে সবচেয়ে ভালো উপায়।
যদি বাবা-মা উভয়েরই মাইগ্রেন থাকে তাহলে সন্তানের মাইগ্রেন হওয়ার সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ। ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের মাইগ্রেন হওয়ার সম্ভাবনা ৩ গুন বেশি।



মন্তব্য চালু নেই