মাগুরায় আকাশ সংস্কৃতির আগ্রাসনের কাছে হার মেনে ৮ টি সিনেমা হলের মধ্যে ৬ টি বন্ধ

মোঃ কাসেমুর রহমান শ্রাবণ, মাগুরা প্রতিনিধি ॥ এক সময় দর্শক লাইনের ভীড় ঠেলে টিকিট সংগ্রহ করা ছিলো দুরূহ বিষয়। আর এখন দর্শক খরায় দিন কাটছে হল মালিকদের। মাগুরায় নিভু নিভু অবস্থায় টিকে আছে দু‘টি সিনেমা হল। দর্শক খরায় নিয়মিত শো শুরু করতে পারেনা। আকাশ সংস্কৃতির আগ্রাসনের কাছে হার মেনে এক সময় মাগুরার পূর্বামা ,মধুমতি, রংমহল,ছায়াবাণী, নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগীতামূলক সিনেমার ব্যবসা করতো। সিনেমা হলের শো শুরু হতে দেরী হলে হলের মধ্যে চেয়ার ছুড়াছুড়ি শুরু হয়ে যেত। দর্শকদের চাপ সামলাতে মর্নিং শো চালাতে বাধ্য হত। এখন সিনেমা হল দর্শক শূন্যতায় নিরবে কাঁদছে।

গত শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে পূর্বাশা সিনেমা হলে গিয়ে দেখা গেল হলের বর্তমান মালিক ইয়াসিন মুন্সি দাড়িয়ে আছে হলের গেটে তাকিয়ে রয়েছে রাস্তার দিকে দর্শকের আশায়। তার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,দর্শক নেই আজ আর শো শুরু করতে পারলাম না। ইয়াসিন বলেন, এই হলটি ১ বছর লিজ নিয়েছি কিন্তু লাভের মুখ দেখলাম না।

পূর্বাশা সিনেমা হল মালিক আশরাফুল আলম জানান,আমাদের ৪ টি হলের মধ্যে ১ টি পূর্বাশা হল টিকে আছে। বাবার এ ব্যবসার সূত্রে যোগ দিই সিনেমা হলের ব্যবসায়। ৮০ দশকে প্রথম ১ টি সিনেমা হল দিযে আমাদের ব্যবসা শুরু হয়। অল্প দিনে ব্যবসা সাফল্যের কারণে মাগুরা জেলাসহ পাশের জেলাতে আমরা আরো ৩ টি সিনেমা হল তৈরী করে ব্যবসা করতে থাকি। পরবর্তীতে আকাশ সংস্কৃতির আগ্রাসনের কাছে হার মেনে আগেই ৩ টি হল বন্ধ করে দিয়েছি। টিকে থাকা পূর্বাশা হলটি ব্যবসায়ী ক্ষতি নিয়ে এক যুগেরও বেশীদিন ধরে টেনে আনলেও অর্থনৈতিক ক্ষতির মূখে ধরে না রেখে লিজ দিয়েছি।

মধুমিতা হলের কতৃপক্ষ জানান, এক সময় এখানে মধুমতি সিনেমা হল ছিল। দেনার দায়ে মধুমতি হলটি বন্ধ হযে যায়। পরর্বতিতে নতুন ব্যবস্থাপনায় মধুমিতা নামে সিনেমা হলটি চালু হলেও লাভের মুখ দেখেনি।



মন্তব্য চালু নেই