মাগুরায় উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ফুসে উঠেছে এলাকাবাসী

মাগুরা প্রতিনিধি: সদর উপজেলার মির্জাপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ১৫৬ জন ছাত্রীর উপবৃত্তির টাকা থেকে কোচিংয়ের নামে জোর পূর্বক ২০০ টাকা করে এবং বিবাহিত ও অনুপস্থিত ১৬ ছাত্রীর উপবৃত্তির সমুদয় টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ফুসে উঠেছে এলাকাবাসী।

ছাত্রী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফোরকান আলী ও ধর্ম শিক্ষক ফিরোজ মিয়া দু’জনে মিলে এ টাকা আত্মসাত করেছেন। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, উপ-বৃত্তির টাকা থেকে জোর পূর্বক কোচিং বাবদ ২০০ টাকা করে আদায়ের অভিযোগ শুনেছি। এ অর্থ আদায়ের কোন রেজুলেশন নেই। শিক্ষকরাও কিছু জানানি। মাগুরা সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মালা রানী বিশ্বাস বলেন- অভিযোগটি জেনেছি ঈদের ছুটির পর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ফোরকান আলী উপ-বৃত্তি থেকে কোচিংয়ের জন্য ২০০ টাকা করে কেটে রাখার কথা স্বীকার করে বলেন, এ জন্যে রেজুলেশন করতে হয় তা জানা ছিল না। বিবাহিত ও অনুপস্থিত ১৬ জনের উপ-বৃত্তির টাকা অন্যান্যদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কিছু ভুল ত্রুটি রয়েছে। তবে ভবিষ্যতে এমন ভূল আর হবে না। ধর্ম শিক্ষক ফিরোজ মিয়া টেলিফোনে বলেন নিউটি আজ ছাড়ার দরকার নেই আমি দেখা করে আপনাদের ব্যবস্থা করছি।

ওই স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী তাহমিনার অভিযোগ, উপবৃত্তি তালিকায় নাম ওঠাতে খরচ বাবদ ফিরোজ স্যার ১‘শ টাকা করে নিলেও পরে দেখি নাম ওঠেনি। তখন হেড স্যার ও ফিরোজ স্যার বিয়ের কারণে অনুপস্থিত এক ছাত্রীর নাম আমাকে দিয়ে সহি করিয়ে নিয়ে ১০৮০ টাকা তুলে আমাকে ৫‘শ টাকা দিয়েছেন। ৭ম শ্রেণীর ফেরদৌসি ৯ম শ্রেণীর ডলির ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে বলে তারা সাংবাদিকদের জানান।

এছাড়া ছাত্রীদের আটকে রেখে উপ-বৃত্তির টাকা থেকে ওই দুই স্যার জোর করে ২’ শ টাকা করে কেটে রেখেছেন। অথচ কোচিং ঠিকমত হয়নি। মির্জাপুর গ্রামের হাসি বেগম নামের এক ছাত্রীর মা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন যে, আমার মেয়ে হাসি বেগমকে দিয়ে সহি স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েও টাকা দেয়া হয়নি। এছাড়া সাহেলা নামের এক প্রতিবন্ধীর টাকাও আত্মসাত করা হয়েছে। এ সব নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।



মন্তব্য চালু নেই