মাগুরায় নতুন বাজারে ব্রীজ নির্মানে বিলম্ব জনগনের দূর্ভোগ চরমে

মাগুরা প্রতিনিধি : সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্বাবধানে মাগুরার নতুন বাজারের নদীতে ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দের মাধ্যমে বহু প্রতিক্ষিত ব্রীজ নির্মান কাজ শুরু হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যে এ ব্রীজের কাজ শেষ হবার কথা থাকলেও তা শেষ হতে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সময় লাগবে বলে সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে।কাজের গতি দেখে মনে হয় ব্রীজটি চালু হতে আগামী ২০১৭ সালের মাঝা মাঝি সময় লাগবে। আর এ বিলম্বের কারনে মাগুরার সাথে শ্রীপুর উপজেলার ও মাগুরা সদরের ১নং হাজীপুর এবং ২নং আঠারোখাদা ইউনিয়নের প্রায় ৩ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষের যোগাযোগে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মামলার কারেণে এ ব্রীজ নির্মানে বিলম্ব হয়েছে বলে সংশিষ্ট বিভাগ জানিয়েছে। বিলম্বের কারণে মাগুরা থেকে শ্রীপুর যেতে যানবাহনকে রাম নগর, ওয়াপদা মোড় অথবা রাউতড়া হয়ে ঘুরে আসা যাওয়া করতে হচ্ছে। এতে এক দিকে জালানীর অপচয় অপরদিকে সময় লাগছে তিনগুন।তাছাড়া গ্রামের রাস্থা দিয়ে বড় ড়ব ট্রাক চলাচলের কারণে গ্রামের রাস্থাগুলোও ভেঙ্গে পড়ছে। ব্রীজটি নির্মানের সময় বিকল্প কোন ব্যাবস্থা না নেয়ায় এ দূর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে। বিশেষ করে শ্রীপুর এলাকায় কোন স্থানে আগুন লাগলে বা দ্রুত কোন রোগী আনা নেয়া করার ক্ষেত্রে ফায়ার ব্রীগেডের গাড়ি বা এম্বুলেন্স এর দ্রুত আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে চরম সমস্যা দেখা দিয়েছে।তাছাড়া গোটা শ্রীপুরের উন্নয়ন কাজ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। এখানে ইতিপূর্বে একটি ব্রীজ ছিল যা ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ নতুন করে ব্রীজ নির্মানের প্রকল্প গ্রহন করে।

মাগুরা ১ আসনের সংসদ সদস্য ব্রিগেডিয়র জেনারেল এটি.এম আব্দুল ওহহায়াব বলেন, “প্রতিদিন এ পথ দিয়ে শ্রীপুর উপজেলার হাজার হাজার মানুষ জেলা শহর মাগুরায় যাতায়াত করে থাকে তাদের জন্য সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। মানুষের সমস্যা সমাধানে সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্বাবধানে এ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে মাগুরা জেলা শহরের সাথে শ্রীপুর উপজেলার জনগনের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হবে। জেলা শহর মাগুরার সাথে যোগাযোগ সহজতর হবে। এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে এ স্থানে ব্রীজ নির্মানের দাবি করে আসছিল। মানুষের প্রয়োজন উপলদ্ধি করে এ প্রকল্প নেয়া হয়।”

খুলনার দি আজাদ ইঞ্জিনিয়ারস নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এ নির্মান কাজ করছে। এলাকার মানুষের দূর্ভোগ কমাতে যথাশিগ্র ব্রীজটির নির্মান কাজ শেষ করা জরুরী।



মন্তব্য চালু নেই