মাগুরায় লুটের সময় এলকাবাসীর হাতে অজ্ঞানপার্টির ২ সদস্য আটক

মাগুরা প্রতিনিধি: মাগুরায় একই পরিবারের ৮ সদস্যকে অচেতন করে নগদ অর্থ ও মুল্যবান মালামাল নিয়ে পালানোর সময় গণ-ধোলাইয়ের শিকার হয়েছে অজ্ঞান পার্টির দুই সদস্য।

ঘটনাটি ঘটেছে মাগুরা সদর উপজেলার বারাশিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের বাড়িতে। শনিবার রাতেই অচেতন অবস্থায় ওই পরিবারের ৮ জনসহ গণ-ধোলাইয়ের শিকার অজ্ঞান পার্টির দুই সদস্যকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মাগুরা সদর থানার এসআই নাসির হোসেন জানান, মোবাইল ফোনে পরিচয়ে পর ধর্ম আত্মীয়তার সূত্র ধরে পাবনা জেলার সাথীয়া উপজেলার রবিউল ইসলাম ও গোপালগঞ্জের দ্বীন মহম্মদ নামে দুই ব্যক্তি শনিবার মাগুরা সদরের বরাশিয়া গ্রামে হাবিবুর রহমানের বাড়িতে বেড়াতে আসে।

হাবিবুরের পরিবারের সদস্যদের জন্য রাখা রাতের খাবারের সাথে তারা কৌশলে চেতনা নাশক ওষুধ মিয়ে রাখে। ওই খাবার খেয়ে হাবিবুর রহমান, তার বৃদ্ধা মা সাজেদা খাতুন, স্ত্রী সেলিনা পারভীন, ভাগ্নি যমুনা পারভীন, কন্যা রজনী, রাফেজা, সানু ও চায়না অচেতন হয়ে পড়ে।

এ সুযোগে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা ঘরের নগদ অর্থ ও মূল্যবান মালামাল গুছাতে থাকে। একই বাড়িতে থাকা হাবিবুরের ভাই সিন্দবাদ বিষয়টি টের পেয়ে বাইরে থেকে ঘরের দরজা বন্ধ করে অজ্ঞান পার্টির দুই সদস্যকে আটকে ফেলে গ্রামবাসীর সহায়তায় গণ-ধোলাই দেয়।

পরে ওই পরিবারের অচেতন ৮ সদস্য ও অজ্ঞান পার্টির দুই সদস্যকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের চিকিৎসা চলছে। এদের মধ্যে হাহিবুর রহমান ও তার বৃদ্ধা মা সাজেদা খাতুনের অবস্থা আশংকাজনক। বর্তমানে পুলিশি পাহারায় তাদের চিকিৎসা চলছে। এঘটনায় সদর থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

হাবিবুর রহমানের ভাগ্নি যমুনা পারভীন জানান-দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ওই দুই প্রতারক নিজেদের কন্ঠশিল্পী ও ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে তার মামির সাথে কথা বলতো। গত ঈদে তারা তার মামার বাড়িতে বেড়াতে আসে।

এ সময় তারা খুব অমায়িক ব্যবহার করে। গতকাল তারা মামার বাড়িতে বেড়াতে আসে।এ সময় তারা সঙ্গে করে কোকাকোলা নিয়ে আসে। সবার আগে মামা হাবিবুর রহমানকে তারা কৌশলে কোকাকোলা খাইয়ে দেয়। পরে তাদের খাবারের সঙ্গেও অজ্ঞান করার ওষুধ মিশিয়ে দিলে তারা অজ্ঞান হয়ে পড়েন।



মন্তব্য চালু নেই