মাগুরায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজের সাহায্যে ডাকাতসহ ৩জন আটক

মাগুরা প্রতিনিধি ॥ ডিবি পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও ১ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় হেমায়েত হোসেন (৫০) নামে এক আন্ত:জেলা ডাকাতকে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ। সে মাগুরাসহ বিভিন্ন থানার ৭টি ডাকাতি, ছিনতাই ও অস্ত্র মামলার আসামী।

মাগুরা পুলিশ সুপার এ কে এম, এহসান উল্লাহ জানান, গত ১৯ এপ্রিল দুপুরে খলিলুর রহমান নামে এক কাঠ ব্যবসায়ী মাগুরা একটি ব্যাংক থেকে ১ লাখ টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে মাগুরা যশোর সড়কের কাটাখালী এলাকায় হেমায়েত ও তার দল মাইক্রোবাস যোগে পিছু ধাওয়া করে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে জোর পূর্বক তাকে মাইক্রেবাসে তুলে ডিবি অফিসে নেওয়ার কথা বলে মাগুরা শহরের দিকে রওনা হয়। পথিমধ্যে ভয় ভীতি দেখিয়ে ব্যবসায়ী খলিলের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা কেড়ে নিয়ে শিমুলিয়া এলাকায় ছেড়ে দেয়। খলিলুর রহমান এ ব্যাপারে থানায় মামলা করে। এই মামলার সূত্রে পুলিশ মাগুরা শহরের বিভিন্ন স্থানে থাকা সিসি ক্যামেরায় সন্দেহজনক ভাবে একটি মাইক্রোবাস সনাক্ত করে। শহরের ভায়না মোড়ে পুলিশের স্থাপিত সিসি ক্যামেরায় দুপুরে এটির গতিবিধি স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে। এই ফুটেজ দেখে প্রথমে মাইক্রো বাসের নম্বর সনাক্ত করে পুলিশ। পরে এস আই তারিকুলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ফরিদপুরের নগরকান্দা এলাকার শ্রীরামদিয়া গ্রাম থেকে প্রথমে ওই মাইক্রোচলক বদরুজ্জামান একই জেলার কাপুড়িয়া গ্রাম থেকে মাইক্রো চালক লালনকে আটক করে। পরে তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে ফরিদপুরের নগরকান্দার ছাগলদি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় হেমায়েতকে। হেমায়েতের নামে ফরিদপুর, নারায়নগঞ্জ ও ঢাকা জেলার বিভিন্ন থানায় ৭টি ডাকাতি, অস্ত্র ও ছিনতাই মামলা রয়েছে। সে পুলিশের কাছে ব্যবসায়ী খলিল অপহরন ও তার কাছে থেখে লাখ টাকা ছিনতাইরয়র কথা স্বীকার করেছে। এছাড়া মাগুরাসহ বিভিন্ন জেলায় অপহরন, ছিনতাই ও ডাকাতির নানা তথ্য দিয়েছে। গ্রেফতার হেমায়েত জানিয়েছে, তার দলে লফিক,সাঈদও খোকন নামে আরো ৩ জন আছে। ২০১৫ সালে একটি ছিনতাই ও ডাকাতি মামলায় ফরিপুর জেলে থাকাকালিন তাদের সাথে তার পরিচয় ঘটে।

এদিকে ডাকাত ধরার খবরে গতকাল দুপুরে ১৯ এপ্রিল অপহৃত ব্যবসায়ী খলিল সদর থানায় এসে গ্রেফতারকৃত হেমায়েতকে সনাক্ত করে। হেমায়েত হোসেন (১৯৯৮ সালে বিডিআর চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলে চাকুরী করাকালে অনৈতিক কাজের অপরাধে চাকুরীচ্যুত হয় হেমায়েত।

পরবর্তিতে আন্ত:জেলা ডাকাত চক্রের সাথে জড়িত হয়ে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি, ছিনতাই করে আসছিল। পুলিশ অপহরন ও ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত মাইক্রো বাসের চালক লালন ও মালিক বদরুজ্জামানকে আটক করেছে।



মন্তব্য চালু নেই