মাছে-ভাতে বাঙালির শাশ্বত পরিচয়কে সমুন্নত রাখার আহ্বান

মৎস্য খাতসংশ্লিষ্টদের ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’ এই শাশ্বত পরিচয়কে সমুন্নত রাখতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৫’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের (মৎস্য খাতসংশ্লিষ্ট) আন্তরিক কর্ম প্রচেষ্টায় আমরা সফলতার সঙ্গে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে যাচ্ছি। এ জন্য দেশের সকল মৎস্যজীবী ও মৎস্য খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আজ প্রায় দেড় কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা মৎস্য সম্পদের সঙ্গে সম্পর্কিত। ১৩ লাখেরও বেশি মানুষের সার্বক্ষণিক পেশা মৎস্য আহরণ। জিডিপিতে মৎস্য সম্পদের অবদান ৪ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপিতে প্রায় ২২.৬০ শতাংশ। প্রাণিজ আমিষের ৬০ ভাগ জোগান দেয় দেশের মৎস্য খাত।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমার প্রত্যাশা, আপনারা মাছে-ভাতে বাঙালির চিরায়ত পরিচয়কে সমুন্নত রাখতে সর্বোচ্চ পেশাদারত্ব, আন্তরিকতা ও দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করে যাবেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের বিপুল ম্যান্ডেট নিয়ে আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠন করি। এর আগে বিএনপি-জামায়াত জোট আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার অন্যান্য খাতের মতো মৎস্য খাতকেও লুটপাট আর দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিল।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রী মৎস্য খাতে উৎপাদন বৃদ্ধিসহ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাকৃতিক মৎস্য উৎপাদনের ক্রম অধোগতি উপলব্ধি করে চাষের মাধ্যমে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে জনগণকে উৎসাহিত করেন। জাতির পিতা ১৯৭৩ সালে গণভবনের লেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মাছের পোনা ছেড়ে এই কর্মসূচির শুভ সূচনা করেন।

বক্তব্য শেষে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।



মন্তব্য চালু নেই