মাছ খাওয়ার উপকারিতা ও ঝুঁকি

মাছে ভাতে বাঙালি বলা হয় আমাদের। প্রতি বেলাতেই খাবারে মাছ আমাদের চাই-ই চাই। মাছে অনেক পুষ্টি, ভিটামিন আছে বলেই জানি। কিন্তু জানেন কি মাছে ক্ষতিকর উপাদানও আছে?

মাছ খাওয়ার উপকারিতা

স্ট্রোক প্রতিরোধ করে: গবেষণায় দেখা গেছে, যারা অন্তত সপ্তাহে একদিন মাছ খান তাদের স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা ১৩ শতাংশ কম, যারা মাছ একবারেই খান না তাদের তুলনায়।

যুক্তরাষ্ট্রের হার্ট অ্যাসোসিয়েশন, সপ্তাহে অন্তত দুই দিন মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ মাছের মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড থাকে যা হৃদপিণ্ডের সুরক্ষা করে।

ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে কাজ করে: চর্বি জাতীয় মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটের বিরাট উৎস। ওমেগা-৩ কার্ডিওভ্যাসকুলারের সুস্থ্যতার জন্য কাজ করে। তাছাড়া, বাত, ডায়াবেটিস, মানসিক চাপ এবং কিছু ক্যানসারের বিরুদ্ধে কাজ করে।

সাধারণত ঠাণ্ডা পানির মাছে বেশি ওমেগা-৩ থাকে। যেমন: সামুদ্রিক পোনা মাছ, হেরিং, স্যামন, ম্যাকেরল এবং ট্রাউট মাছ।

মাছ খাওয়ার ঝুঁকি

গর্ভকালীন জটিলতা: গর্ভবতী, প্রসূতি নারী এবং যেসব নারী মা হওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন তাদের মেথিলমার্কারি আছে এমন মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এইধরনের বিষাক্ত উপাদান ভ্রুণ, ছোট্ট্র শিশু ও বাচ্চাদের স্নায়ুতন্ত্র গঠনে সমস্যা করে।

সাধারণত হাঙ্গর, তরোয়াল মাছ, ম্যাকরল, টাইলফিস, আলবাকোর টুনা মাছে এই ক্ষতিকারক উপাদান পাওয়া যায় বেশি।

চাষ করা মাছে দূষণীয় উপাদান থাকে: স্যামন মাছে উচ্চমাত্রায় কীটনাশক ও অন্যান্য বিষাক্ত উপাদান থাকে। তাই চাষ করা স্যামন মাছের পরিবর্তে প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন মাছ নিরাপদ।



মন্তব্য চালু নেই