মাঝ আকাশে বদমায়েশি, পাকিস্তানের গান শুনতে হচ্ছে ভারতীয় পাইলটদের

সোজা পথে ভারতের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াই করার সাহস খুব কমই দেখিয়েছে পাকিস্তান। জঙ্গি ঢুকিয়ে বা চোরাগোপ্তা গুলি চালিয়ে ভারতকে উত্যক্ত করাই পাকিস্তানের রেওয়াজ। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাকিস্তানের এই প্রবণতা এখন আকাশপথেও দেখা যাচ্ছে। যার শিকার হচ্ছে ভারতীয় বিমানগুলি। এর জেরে দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকছে। কিন্তু পাকিস্তান যুক্তি মেনে আর কবে কাজ করেছে!

একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদপত্রে প্রকাশতি খবর অনুযায়ী, জম্মু বিমানবন্দর এবং জম্মুর থয়েসে অবতরণ করা ভারতীয় বিমানগুলির ফ্রিকোয়ন্সি হ্যাক করে নিচ্ছে পাকিস্তানের হ্যাকাররা। এই ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করেই জম্মুর এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন পাইলটরা। অভিযোগ, পাক হ্যাকাররা এই ফ্রিকোয়েন্সি হ্যাক করে সেখানে পাকিস্তানের বিভিন্ন দেশাত্মবোধক গান চালিয়ে দিচ্ছে। ফলে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে পাইলটদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। মাঝআকাশে এই সময়ে যথেষ্টই সমস্যায় পড়েন বিমানচালকরা। বাধ্য হয়ে তখন উধমপুরের ভারতীয় বায়ুসেনার নর্দান কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন পাইলটরা। উধমপুর থেকে বিষয়টি জম্মু এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের জানানো হয়। তার পরে বিকল্প ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে ফের পাইলটদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল। পাইলটরা মেনে নিচ্ছেন, বিমান অবতরণের সময়ে এইভাবে ককপিটে বসে পাকিস্তানের দেশাত্মবোধক গান শোনা বেশ বিরক্তিকর। মনঃসংযোগ বিঘ্নিত হওয়ায় নিরাপদে বিমান অবতরণ করানোটাই পাইলটদের কাছে প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এমনিতেই নিয়ন্ত্রণরেখার খুব কাছে হওয়ায় জম্মুতে বিমান অবতরণ করানো পাইলটদের কাছে বেশ চ্যালেঞ্জিং। তার উপরে পাক হ্যাকারদের উপদ্রব পাইলটদের কাজকে আরও কঠিন করে তুলেছে। পাকিস্তানের হ্যাকারদের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য মাঝে-মধ্যেই জম্মুর এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের ফ্রিকোয়েন্সিতে অদল বদল করা হয়। তা সত্ত্বেও পাক হ্যাকারদের হাত থেকে নিস্তার পাচ্ছে না ভারতীয় বিমানগুলি।



মন্তব্য চালু নেই