মাঝ আকাশে বিমানের জ্বালানি শেষ, মারাত্মক ঝুঁকি নিলেন পাইলট

খারাপ আবহাওয়ার জন্য ছয় বারের চেষ্টাতেও মাটি ছুঁতে না পেরে শেষে কোনও প্রস্তুতি ছাড়াই অন্ধের মতো ল্যান্ড করতে বাধ্য হল যাত্রীবিমান। জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ার জন্য মারাত্মক ঝুঁকি নিলেন পাইলট।

গত ১৭ আগস্ট অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছিল জেট এয়ারওয়েজের বোয়িং বিমানের যাত্রী এবং কর্মীদের প্রাণ। সম্প্রতি ডিজিসিএ-র তদন্ত রিপোর্টে ফাঁস হয়েছে হাড়হিম করা তথ্য। জানা গিয়েছে, সেদিন প্রচণ্ড খারাপ আবহাওয়ার দরুণ দোহা থেকে উড়ে এসে ভারতের

কোঁচি বিমানবন্দরের মাটি ছুঁতে হিমশিম খেয়েছিলেন দুই বিমানচালক। পর পর ছয় বার চেষ্টা করেও ল্যান্ড করা সম্ভব হয়নি। এদিকে তার জন্য দ্রুত কমে এসেছিল বিমানের জ্বালানি।

ডিজিসিএ-র তদন্তে প্রকাশ, কোঁচি বিমানবন্দরে প্রথম বার নামার চেষ্টার সময় জ্বালানি ছিল ৪,৮৪৪ কেজি। ছয় বার চক্কর মেরে মাটি ছোঁয়ার সময় বিমানের ট্যাঙ্কে অবশিষ্ট ছিল মাত্র ৩৪৯ কেজি জ্বালানি। এই অবস্থা দেখেই বাধ্য হয়ে ল্যান্ড করেন চালকেরা। ককপিট ভয়েস রেকর্ডার থেকে উদ্ধার করা কথোপকথনে ধরা পড়েছে, ফার্স্ট অফিসার ফ্লাইট কম্যান্ডারকে প্রশ্ন করছেন, ‘আপনি জানেন রানওয়েটা কোথায়?’ জবাবে কম্যান্ডার বলেন, ‘অন্ধের মতো চলেছি।’

এরপর কোঁচির বদলে ভারতের অন্যপ্রান্তের তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরের রানওয়েতে নেমে পড়তে বাধ্য হন তারা। প্রশাসনের তরফে মন্তব্য করা হয়েছে, পদক্ষেপের জেরে মারাত্মক ফল হতে পারত। বরাতজোরে এবং দুই বিমানচালকের কৃতিত্বে কোনও মতে রক্ষা পান যাত্রীরা। ইন্ডিয়া টাইমস।



মন্তব্য চালু নেই