শিশুর ওপর এমপির গুলিবর্ষণ

মাতাল হয়েই গুলি ছোড়েন এমপি লিটন

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন মাতাল অবস্থায় গাড়ি থেকে শিশু সৌরভকে গুলি ছুড়েছেন বলে দাবি আহত শিশুর বাবা সাজু মিয়ার।

শুক্রবার দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন তিনি।

গুলিবিদ্ধ শিশু সৌরভের বাবা সাজু মিয়া জানান, শুক্রবার ভোরে সৌরভ বাড়ির পাশে হাঁটতে বের হয়। এ সময় ওই পথ দিয়ে গাড়িতে করে এমপি লিটন তার নিজ বাড়ি বামনডাঙ্গায় ফিরছিলেন। গোপালচরণ গ্রামের কালাইর ব্রিজ এলাকায় পৌঁছে গাড়ি থেকে এমপি লিটন তার ব্যবহৃত পিস্তল দিয়ে হঠাৎ করে সৌরভকে লক্ষ্য করে পর পর তিনটি গুলি ছোড়েন লিটন। এতে সৌরভের ডান পায়ে দুটি ও বাম পায়ে একটি গুলিবিদ্ধ হয়।

গুলিবিদ্ধ শিশুর বাবা জানান, আশঙ্কাজনক অবস্থায় সৌরভকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে বামনডাঙ্গায় ওই অ্যাম্বুলেন্সের গতিরোধ করেন এমপি লিটন ও তার সমর্থকরা। এ সময় সাজু তার ছেলেকে নিয়ে রংপুর মেডিকেলে যাওয়ার জন্য জোরাজুরি করলে লিটন সেখানেও তাকে ও অ্যাম্বুলেন্স চালককে লক্ষ্য করে দুই রাউন্ড গুলি ছোড়েন। পরে সেখান থেকে পালিয়ে পথ পরিবর্তন করে অন্য পথ হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতারে ছেলেকে নিয়ে এসে ভর্তি করান তিনি।

সৌরভের মা সেলিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, এমপি লিটন প্রায়ই মদ খেয়ে মাতলামি করেন এবং সারারাত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সকালে বাড়িতে ফেরেন। ঘটনার সময় লিটনকে মাতালের মত আচরণ করতে দেখা গেছে বলেও তারা দাবি করেন।

এদিকে আহত সৌরভ জানায়, ঘটনার সময় ব্রিজের কাছে তার আশপাশে অন্য কোনো লোকজন ছিলো না। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গাড়ি থেকে জানালার কাচ খুলে গুলি ছোড়েন এমপি লিটন।

সৌরভের চাচা শাজাহান ও ফুপা সৈয়দ ফুয়াদ হানান বলেন, এমপি লিটন প্রায়ই মদ খেয়ে মাতলামি করেন বলে এলাকার অনেকেই জানেন। কিন্তু প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না।

রংপুর মেডিকেল কলেজের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. বাবুল কুমার সাহা জানান, আপাতত শিশুটি আশঙ্কামুক্ত। তবে এক্সরে রিপোর্টে পায়ে গুলির অবস্থান শনাক্ত করা না যাওয়ায় অপারেশন করে গুলি বের করা হয়েছে।

এদিকে এমপি লিটনের গুলিতে শিশু গুলিবিদ্ধ হওয়ায় ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় আওয়াম লীগ নেতাদের উদ্যোগে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।



মন্তব্য চালু নেই