মানবপাচার রোধে সাগর অভিযানে নামছে ইইউ

মানব পাচার ঠেকাতে ভূমধ্যসাগরে একটি নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

‘অপারেশ সোফিয়া’ নামের ওই অভিযানে ব্যবহৃত জাহাজগুলো সন্দেহভাজন মানব পাচারকারীদের নৌকাগুলোতে তল্লাশি এবং জব্দ করার কাজ চালাবে। এতদিন পর্যন্ত ইইউ কেবল ভূমধ্যসাগরে মানব পাচারের ওপর নজরদারি এবং উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নিচ্ছিলো।

রোমের সদরদপ্তর থেকে সোফিয়া অভিযানের কমান্ডার রিয়ার এ্যাডমিরাল এনরিকো ক্রিদেনদিনো ভূমধ্যসাগরে অভিযানে থাকা ইইউর যুদ্ধজাহাজগুলোর তত্ত্বাবধান করবেন।

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মোগিরিনি অভিযানের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে বলেছিলেন, ‘আন্তর্জাতিক জলপথে জলযানে উঠতে পারবো আমরা, তল্লাশি চালাতে পারবো এবং সন্দেহভাজন মানবপাচারকারীদের জলযান আটক করে তাদের ইতালির বিচার বিভাগের কাছে হস্তান্তর করতে পারবে।’ ইইউ লিবিয়ার জলসীমায়ও অভিযান পরিচালনা করতে চাইছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে এর জন্য তাদের জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ বা লিবিয়ার অনুমতি নিতে হবে।

ইউরোপের দেশগুলোতে সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার দেশগুলো থেকে আগত শরণার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পর এই অভিযান শুরু করছে ইইউ। তাদের হিসেব মতে চলতি বছর উত্তর আফ্রিকার লিবিয়া উপকূল থেকে ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি শরণার্থী ইউরোপে প্রবেশ করেছে। সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে আরো ২৭শ মানুষ।

এর আগে গত জুন মাসে ভূমধ্যসাগরে প্রথম নৌ অভিযান চালিয়েছিল ইইউ। ‘ইইউনেভফর মেড’ নামে পরিচিত ওই অভিযানে লিবিয়া থেকে ইতালি ও মাল্টার উদ্দেশে ছেড়ে আসা পাচারকারীদের নৌকাগুলোতে কেবল মাত্র নজরদারি এবং উদ্ধারের কাজ করেছিল ইইউ।



মন্তব্য চালু নেই