মানসিক সমস্যা তৈরি করে অ্যান্টিবায়োটিক

ঠাণ্ডা, জ্বর, সর্দি থেকে শুরু করে বিভিন্ন রোগ উপশমে বর্তমান সময়ে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার সর্বাধিক। অ্যান্টিবায়োটিক মূলত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বন্ধে কাজ করে।অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে দ্রুত রোগের ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাওয়া এটা সত্যি। কিন্তু এর যথেষ্ট পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক মস্তিষ্কের কার্যাবলীকে ব্যাহত করে যা ডেলিরিয়াম নামে পরিচিত। তাছাড়া, একই কারণে মস্তিষ্কের অন্যান্য রোগও হতে পারে। ডেলিরিয়ামের কারণে মানসিক বিভ্রান্তি, মতিভ্রম এবং উৎকণ্ঠা তৈরি হয়।

বোস্টন ব্রিগহ্যাম এবং উইমেন হাসপাতালের চিকিৎসক ও লেখক শমিক ভট্টাচার্য বলেন, যাদের ডেলিরিয়াম সমস্যা আছে তাদের অন্যান্য সমস্যাও আছে। এই ধরণের সমস্যা হলে দ্রুতই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।

৫৪টি ভিন্ন অ্যান্টিবায়টিক এর সঙ্গে জড়িত। ১২ শ্রেণির অ্যান্টিবায়োটিক সাধারণত ব্যবহার হয় বেশি।যেমন, সালফোনামাইডাস, সিপ্রোফ্লোক্সাজিন, সেফেপাইম, পেনসিলিন ইত্যাদি।

গবেষণায় প্রায় ৪৭ শতাংশ রোগী বিভ্রম বা মতিভ্রমের সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। ১৪ শতাংশের হৃদরোগ, ১৫ শতাংশের অনৈচ্ছিক পেশির আকস্মিক টান, ৫ শতাংশ শরীর নড়াচড়ায় নিয়ন্ত্রণ হারানোর সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে।

গবেষকরা আরও বলেন, ইইজি নামে একটি পরীক্ষার মাধ্যমে মস্তিষ্কে বৈদ্যুতিক কার্যাবলী চিহ্নিত করা হয়। ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক ধরা পড়েছে। ২৫ শতাংশ যাদের ডেলিরিয়াম উন্নতি করেছে তাদের কিডনি ফেইলরের ঘটনা ঘটেছে।

গবেষণা নিবন্ধটি নিউরোলজি জার্নালে প্রকাশিত হয়। গবেষণায় তিন ধরনের ডেলিরিয়াম ও মস্তিষ্কের অন্যান্য সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে যার যোগসূত্র অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে রয়েছে।

গবেষকরা সাত দশকের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদন, ৩৯১ জন রোগীর কেস রিপোর্ট পর্যালোচনা করেন। যাদের অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হয়েছিল তারা পরবর্তীতে ডেলিরিয়াম ও অন্যান্য মস্তিষ্কের সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই