মানুষের কথা বুঝতে পারে কুকুর! জেনে নিন আসল রহস্য…

মানুষের কাছে প্রভুভক্ত কুকুরের কদর অনেক বছর ধরেই। সম্প্রতি কুকুর নিয়ে একটি চমকপ্রদ তথ্য জানিয়েছে বিজ্ঞানীরা। বলা হচ্ছে, কুকুর মানুষের উচ্চারিত বিভিন্ন শব্দ ও স্বরভঙ্গির অর্থ বুঝতে পারে। এসব বুঝতে কুকুরের মস্তিষ্কের যে অংশটি কাজ করে, একই ধরনের অংশ মানুষের মস্তিষ্কেও কাজ করে থাকে।

হাঙ্গেরির ইয়টভস লোরান্ড ইউনিভার্সিটির গবেষক অ্যাটিলা অ্যান্ডিক্স জানান, ভাষার চর্চায় হাজার হাজার শব্দ শেখার বিষয়টি মানুষের কোনো অনন্য বৈশিষ্ট্য নয়। বরং শব্দ শুনে তার অর্থ বুঝে ওঠার বিষয়টি প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের মধ্যে প্রোথিত হয়েছে। তবে একের পর এক শব্দ উদ্ভাবন মানুষকে অনন্য বৈশিষ্ট্য দিয়েছে। মানুষের পারস্পরিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে অসাধারণ ভূমিকা রেখেছে শব্দ। মৌখিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে এমন স্পষ্ট শব্দের ব্যবহার অন্যান্য প্রাণীর মধ্যে পাওয়া যায় না।

‘সায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা পত্রটিতে বলা হয়, মুখের কথাকে অর্থপূর্ণ করতে স্বরের তারতম্য বিশেষ ভূমিকা রাখে। উচ্চ ও নিম্নমাত্রার স্বরে একেক অর্থ প্রকাশ করতে পারে মানুষ। এই স্বরের পার্থক্য ও পরিষ্কারভাবে উচ্চারিত শব্দের প্রয়োগে মানুষ তার ভাষার প্রয়োগ ঘটায়।

কুকুর একই উপায়ে শব্দ ও স্বরভঙ্গির পার্থক্য ধরতে পারে বলে জানাচ্ছে গবেষণা। প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় কুকুর প্রশিক্ষকের উচ্চারিত বিভিন্ন শব্দ এবং স্বরের তারতম্য বিচার করে নির্দেশ গ্রহণ করে। যেমন: প্রশিক্ষক আদরের শব্দ উচ্চারণ করেন আদরের ভঙ্গিতে। আবার আদরের শব্দ উচ্চারণ করেন নিরপেক্ষ ভঙ্গিতে। আবার নিরপেক্ষ শব্দ উচ্চারণ করেন নিরপেক্ষ ভঙ্গিতে। এসব শব্দ ও স্বরের তারতম্য কুকুরের মস্তিষ্কে কিভাবে কাজ করে তা বুঝতে এমআরআই করেন বিজ্ঞানীরা। এতে দেখা যায়, স্বরের পার্থক্য ছাড়াও কুকুর মানুষের উচ্চারিত শব্দ বুঝতে পারে। এক শব্দের সঙ্গে অন্য শব্দের পার্থক্যও ধরতে পারে। মস্তিষ্কের বাম গোলার্ধকে কাজে লাগিয়ে এ কাজ করে কুকুর, ঠিক যা ঘটে মানুষের মস্তিষ্কে। আবার মানুষের মতোই মস্তিষ্কের দক্ষিণ গোলার্ধ ব্যবহার করে একই শব্দের ভিন্ন ভিন্ন স্বরভঙ্গিও ধরতে পারে কুকুর। ইন্টারনেট থেকে।



মন্তব্য চালু নেই