মামলা, গ্রেফতারী পরোয়ান ছাড়াই কৃর্ষি ঋন আদায় করছে জনতা ব্যাংক

ঋনের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ কৃষকদের সাথে সলোনামা সম্পাদন,নতুন করে সার্টিফিকেট মামলা না করে তাগাদা প্রদানের মাধ্যম্যে ঋন আদায়ের প্রক্রিয়া সহ নানাবিধ কর্যক্রমের মাধ্যমে সাতক্ষীরা জেলার জনতা ব্যাংক লিমিটেড কৃষকদের কাছ থেকে বকেয়া ঋনের টাকা আদায় করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

জনতা ব্যাংক সাতক্ষীরার এরিয়া অফিসের উপ পরিচালক আসাদুজ্জামান জানান,তিনি জেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কৃষকদের কে বুঝিয়ে থাকেন যে, তাদের কে ভোগ বিলাসের জন্য ঋণ না নিয়ে সংশ্লিষ্ট কাজের জন্য ঋন নিতে হবে। এবং মাথায় সব সময় একটা চিন্তা রাখতে হবে যে, আজ হোক আর কাল হোক একদিন না একদিন ঋনের টাকা শোধ করতে হবে। তিনি আরো জানান, কৃষকেরা ঋন নিয়ে মনে করেন ঋন মওকুফ হয়ে যাবে। পরিশোধ করা লাগবে না। জনতা ব্যাংক মনে করে লোনী ব্যাক্তিদের পুনরায় লোন দিয়ে তাদের পুরানো লোন শোধ করার সুযোগ করে দিতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে উপ পরিচালক জানান, জনতা ব্যাংক সাতক্ষীরা জেলায় ১৪ টি শাখা রয়েছে। এসব শাখা থেকে ডিসেম্বর ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৩১২ জন কৃষকের নামে সাটির্ফিকেট মামলা দায়ের করেছে। তাদের কাছে ব্যাংকের পাওনা রয়েছে ৮৮ লাখ টাকা। মামলা দায়ের করার পর ৪টি মামলার নিস্পত্তি হয়েছে। ২০১৫ সালের গত ৯ মাসে ২৯৫ জন চাষীর কাছে পাওনা হয়েছে ৭৬ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা। এদের নামে মামলা করার পর ২১ টি মামলার নিস্পত্তি হয়েছে।

চলতি বছরের আগষ্ট মাসে জনতা ব্যাংক সাতক্ষীরা থেকে একটি সার্কুলার জারি করে সার্টিফিকেট মামলা ঋন গ্রহিতাদের সলোনাম সম্পাদনের মাধ্যমে মামলা প্রত্যাহোরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশের আওতায় ৪টি মামলা নিস্পত্তি হয়েছে এবং এ থেকে ব্যাংকটির আদায় হয়েছে ১ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা। গত ডিসেম্বর থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪টি মামলা দায়ের হয়েছে। ২১ টি মামলা গ্রেফতারী পরোয়ানা ছাড়াই নিস্পত্তি হয়েছে। জনতা ব্যাংক সাতক্ষীরা জেলার শাখা গুলো ধান,পাট,সব্জী চাষ,মাছ চাষ,গাভী পালন সহ বিভিন্ন কাজের জন্য সরাসরি প্রকৃত কৃষদের মাঝে ঋন বিতরণ করে থাকে।

জনাত ব্যাংকের এ উদ্যোগের ফলে প্রাকৃতিক দূর্যোগ, উৎপাদিত ফসলের মূল্য কম,সার কীটনাশকের মূল্য বেশী হওয়ার কারনে ঋনে জর্জরিত কৃষকেরা মামলা ও গ্রেফতারী পরোয়ানা মাথায় নিয়ে ফেরারী অবস্থা থেকে মুক্তি পাবে বলে জেলার হাজারো কৃষকেরা মনে করেন।



মন্তব্য চালু নেই