মার্কিন নাগরিকদের বাংলাদেশ সফরে সতর্কতা বৃদ্ধি

গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার পর মার্কিন নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমনের ওপর সতর্কতার মাত্রা বৃদ্ধি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। বুধবার ‘ট্র্যাভেল অ্যালার্ট’ (সাধারণ সতর্কতা) থেকে সতর্কতার মাত্রা ‘ট্র্যাভেল ওয়ার্নিংয়ে’ (ভ্রমণ হুঁশিয়ারি) উন্নীত করা হয়। একই সঙ্গে সে দেশের নাগরিকদের ঢাকা ভ্রমণের ঝুঁকি সম্পর্কেও সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জন কিবরি ওই ‘ ট্রাভেল ওয়ানিং’ সম্পর্কে বিস্তারিত বলেন। তিনি বাংলাদেশে অতি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত গুলশানের এবং শোলাকিয়ার হামলার ওপর আলোকপাত করে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদেরকে বাংলাদেশে সতর্কতার সঙ্গে ভ্রমণ করার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন,‘এই ভ্রমণ হুঁশিয়ারি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জারিকৃত ভ্রমণ সতর্কতার স্থলাভিষিক্ত হবে।’

যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ ‘ওয়ার্নিং’ ও ‘অ্যালার্ট’য়ের মধ্যে পার্থক্য আছে। সাধারণত কোনো দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা, ধর্মঘট বা বিচ্ছিন্ন সহিংসতার ক্ষেত্রে ‘ট্র্যাভেল অ্যালার্ট’ দেয় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পরিস্থিতি বদলে গেলেই ট্রাভেল অ্যালার্ট তুলে নেয়া হয়। তবে ‘ট্রাভেল ওয়ার্নিং’ খুবই বড় রকমের সতর্কতা। এই ক্ষেত্রে মার্কিন নাগরিকরা সেই দেশে যাতায়াত করবে কিনা তা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে বলা হয়।

গত পহেলা জুলাই গুলশানের অভিজাত রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসী হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২০ জন নিহত এবং বৃহস্পতিবার ঈদের দিন শোলাকিয়া ঈদের জামাতে নতুন হামলায় দুই পুলিশ নিহত হওয়ার পরই বাংলাদেশে ভ্রমণের ওপর সতর্কতা বাড়ালো মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।

পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জন কিবরি ওই সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন,‘যুক্তরাষ্ট্র সরকার বিশ্বাস করে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের হুমকি বাস্তবসম্মত এবং এর বিশ্বাসযোগ্যতা রয়েছে। আর দেশটিতে অবস্থানকারী বিদেশিরা এই সন্ত্রাসী হামলার শিকার হতে পারে।’

এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার আলোকে দেশটিতে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের একটি উচ্চ পর্যায়ের সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন ওই মুখপাত্র। একই সঙ্গে তিনি স্থানীয় নিরাপত্তা বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণেরও নির্দেশ দেন। ইতিমধ্যে নিরাপত্তার স্বার্থে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের কর্মীদের চলাফেরার ওপরও বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। দূতাবাসের ওয়েবসাইটে ‘travel.state.gov’ নামে এ সংক্রান্ত একটি বিশেষ তথ্য পেজ খোলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সফরের সময় মার্কিন নাগরিকদেরও একই ধরনের সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন জন কিবরি। এ সম্পর্কে জন কিবরি স্পষ্ট ঘোষণা,‘বিদেশে মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকি।’



মন্তব্য চালু নেই