মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি গাড়ি পরিষ্কার কর্মীকে মারধর (ভিডিও)

গাড়ি পরিষ্কারের সময় ড্রাইভিং সিটে বসায় বাংলাদেশী পরিস্কার কর্মীকে মারধর করেছে গাড়ীর মালিক। সিসি ক্যামেরায় ধারণ হওয়া ওই ঘটনার অংশবিশেষের ভিডিও এরইমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। ওই পোস্টের বরাতে রোববার মালয়েশীয় সংবাদমাধ্যম নিউ স্ট্রেইট টাইমসের একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে।

‘ময়লা কাপড়’ নিয়েই ওই কর্মীর গাড়ির ড্রাইভিং সিটে বসার অভিযোগে হামলা চালানো হয় বলে দাবি করা হয়েছে ফেসবুক পোস্টটিতে।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলার শিকার বাংলাদেশির নাক ফেটে গেছে। ওই ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করেন আতি আবদুল হামিদ নামের এক ব্যক্তি। ধারণা করা হচ্ছে ‍তিনিই ওই গাড়ি পরিষ্কার কেন্দ্রের মালিক। তার দাবি, বাংলাদেশি ওই কর্মী গাড়িতে উঠে বসায়, গাড়ির ভেতরে নোংরা হয়ে গেছে-এমন অভিযোগ এনে ক্ষীপ্ত হয়ে ওঠেন গাড়ির মালিক।

ফেসবুকে মালে ভাষায় দেওয়া হামিদের ওই পোস্টটি ইংরেজীতে রূপান্তর করেছে নিউ স্ট্রেইট টাইমস। আর তার বাংলা করলে দাঁড়ায়, ‘ফুটেজে দেখা যাওয়া বাংলাদেশি কর্মীকে হামলার ঘটনাটি তখন ঘটেছে যখন তিনি ওই গ্রাহকের গাড়ি পরিষ্কার করতে করতে ভেতরে প্রবেশ করেছিলেন এবং গাড়ি নোংরা করেছেন। সম্ভবত: বাংলাদেশি নাগরিকটি ময়লা কাপড় পরেছিল এবং তাকে জীর্ণ দেখাচ্ছিল। আর ওই অজুহাতে নির্ধারিত ১ হাজার মালয়েশীয় রিঙ্গিট পরিশোধ করতে ওই লোকটি যখন অস্বীকৃতি জানালো।’

আতি হাবিবের দাবির বরাতে নিউ স্ট্রেইট টাইমস জানায়, হামলার পর থেকে ওই বাংলাদেশি কর্মীর নাক দিয়ে রক্ত পড়তে থাকায় তাকে সাঙ্গাই বুলোহ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তার নাক ফেটে গেছে বলে নিশ্চিত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আতি হাবিবের বরাতে নিউ স্ট্রেইট টাইমস আরও জানায়, তিনি কেবল সিসিটিভি থেকে প্রথম অংশের ভিডিও নিতে পেরেছেন। পরে ওই বাংলাদেশির ওপর আবারও হামলা চালান ওই গাড়ি মালিক। কিন্তু সিসিটিভি কাজ না করায় সে ফুটেজ পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছেন আতি। তবে পরে রক্তপাতের ছবি তুলেছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।

২ মিনিট ৩১ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ৩০-এর কাছাকাছি বয়সী এক তরুণ গাড়ির সিটে বসে থাকা এক ‘কর্মীর’ সঙ্গে চিৎকার করছেন। ওই কর্মীর গাড়ি থেকে নেমে আসেন এবং তার হাতে একটি কাপড় দেখা গেছে। এরপর আগের লোকটি সিটে বসেন এবং চিৎকার করতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর ওই ‘কর্মীকে’ থাপ্পড় দিতে শুরু করেন তিনি।

এরইমধ্যে ভিডিওটি দেখেছেন ২৮ হাজার মানুষ। ভিডিওটি যারা শেয়ার করেছেন তারা দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে নিউ স্ট্রেইট টাইমসের প্রতিবেদনে।

ভিডিও:

সূত্র: নিউ স্ট্রেইট টাইমস



মন্তব্য চালু নেই