মা-প্রেমিকের অন্তরঙ্গ মুহূর্ত দেখে ফেললো কিশোরী! অতঃপর মায়ের হাতেই মেয়ে খুন…

শুরুটা হয়েছিল একটা সাধারণ আত্মহত্যার অভিযোগ দিয়ে। কিন্তু, তদন্ত এগোতেই বোঝা গেল বিষয়টি আত্মহত্যা নয়। এর পিছনে রয়েছে বিশাল রহস্য। মা ও মেয়ের যুগ্ম প্রেমিকের কারণেই জন্মদাত্রীর হাতে খুন হটে হয়েছে মেয়েকে। বিষয়টি অন্যদিকে ঘোরাতেই সাজানো হয়েছিল আত্মহত্যার গল্প।

গত মাসের ২৪ তারিখে মেয়ে দিক্ষা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বলে পুলিশকে জানায় জননী মঞ্জু। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সিলিং ফ্যানের দিক্ষার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। দিক্ষার বাবা মারা যাওয়ার পর আত্মীয়রা তাকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছে। সেই কারণেই আত্মহত্যা করেছে ১৭ বছরের কিশোরী দিক্ষা। পুলিশের কাছে এমনই অভিযোগ করেছিল মঞ্জু। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মঞ্জুর শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে মামলা শুরু করে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্জাবের আবোহর এলাকায়।

কিশোরী দিক্ষা খুনের নয়া মোড় নিল তার হাতে ‘বিজয়’ লেখা ট্যাটু দেখে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে দিক্ষার মা মঞ্জুর সঙ্গে পরিচয় হয় বিজয় নামের আরব নিবাসী এক যুবকের। বন্ধুত্ব থেকে ক্রমে তা প্রেমের রূপ নেয় মঞ্জু-বিজয়ের সম্পর্ক। ভারতে এসে আবোহরে মঞ্জুর বাড়িতেই থাকতে শুরু করে বিজয়। কিছুদিন পরে কিশোরী দিক্ষাকেও নিজের প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে ফেলে বিজয়। একদিন রাতে বিজয় এবং মঞ্জুকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখে ফেলে দিক্ষা। তীব্র বচসার পর ঠিক হয় মা ও মেয়ে দু’জনেই বিজয়কে বিয়ে করবে। এরপর দিক্ষা নিজের হাতে বিজয়ের নাম লেখা ট্যাটু করায়। তা দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে দিক্ষাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে জন্মদাত্রী মঞ্জু। বিষয়টিকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় দিক্ষার দেহ। ওই ঘরের মধ্যেই একটি সুইসাইড নোট রেখে দেয় বিজয়।

জেরায় নিজেদের সব দোষ কবুল করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় পুলিশ সুপার নরেন্দ্র পাল সিং।



মন্তব্য চালু নেই