মা হবে বাগেরহাটের সেই ‘ধলা পাহাড়’

বাগেরহাটে হজরত খানজাহান (রহ.) মাজারের কুমির আবারও ডিম পেড়েছে। এবার প্রাকৃতিক উপায়ে বাচ্চা ফুটবে বলে আশা করছেন মাজারের খাদেম ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা। গত বছর জেলা প্রশাসন ইনকিউবেটর ব্যবহার করে ডিম ফোটানোর চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। এবার আর ইনকিউবেটরে ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর কোনো চেষ্টা করেনি জেলা প্রশাসন।

মাজারের খাদেমরা বলেন, মাজারের দীঘির দক্ষিণ পাড়ের একটি বাড়ির ভিটায় পনের দিন আগে ৪০- ৪৫টি ডিম পাড়ে ‘ধলা পাহাড়’খ্যাত কুমির পিলপিল। ডিম পাড়ার পর প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে খাদেমরা ওই স্থানটি ঘিরে রাখেন এবং নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করেন। এতে ডিমে তা দিতে কুমিরের সমস্যা হবে না। খাদেমরা আশাবাদী, এবার প্রাকৃতিক উপায়েই বাচ্চা ফুটবে। রক্ষা পাবে মাজারের সাড়ে ৬শ’ বছরের ঐতিহ্য।

এখন মাজারের দীঘিতে রয়েছে ভারতের মাদ্রাজ ক্রোকোডাইল ব্যাঙ্ক থেকে আনা তিনটি মিঠা পানির কুমির। বুধবার দুপুরে দীঘির দক্ষিণ পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, শত শত দর্শনার্থী ‘তা’ দিতে থাকা কুমিরটি দেখছেন।

মাজারের প্রধান খাদেম শের আলী ফকির বলেন, ২০০৫ সালে মাদ্রাজ থেকে আনা কুমির গত কয়েক বছর ধরে ডিম দিলেও তাতে বাচ্চা ফুটছে না। এবার প্রশাসনের সহযোগিতা ও পরামর্শ নিয়ে তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমান বলেন, গত বছর মাজারের দীঘির একটি কুমির ৫৫টি ডিম পাড়ে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের একটি বিশেষজ্ঞ দল সেখানে গিয়ে ২২টি ডিম সংগ্রহ করে। সেগুলো কৃত্রিম উপায়ে বাচ্চা ফুটাতে ইনকিউবেটরে বসানো হয়। তবে বাচ্চা না ফুটায় এবার প্রাকৃতিক উপায়ে বাচ্চা ফোটানোর জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই