মিউনিখ হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মিউনিখের অলিম্পিয়া শপিং সেন্টারে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০-এ দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার (২২ জুলাই) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় মিউনিখের এ শপিং সেন্টারে এ হামলা চালায় ইরানি বংশদ্ভুদ এক তরুণ। হামলাকারি তরুণের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করা যায়নি। হামলায় ৩ জন অংশ নিয়েছে বলে জানানো হলেও পরে পুলিশ বলেছে, ওই তরুণ একাই এ হামলা করেছে।

পুলিশ হিউবার্টাস আন্ড্রেই জানিয়েছেন, হামলাকারী সম্ভবত নিজের গুলিতে নিজের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হামলার দায় কোন গোষ্ঠী স্বীকার করেনি। পুলিশও হামলায় কারা জড়িত সে সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি। হামলায় জড়িত সন্দেহভাজনদের খোঁজে মিউনিখ জুড়ে ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

হামলার পর শপিং সেন্টার থেকে কমপক্ষে ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু ও কিশোর রয়েছে। এছাড়া নিহতদের মধ্যে একজন সন্ত্রাসীর মৃতদেহ রয়েছে বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি জার্মান পুলিশ। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ১৬ জন। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর।

প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান ছিল, কমপক্ষে তিন হামলাকারী মিলে শুক্রবার মিউনিখের ওই শপিংসেন্টারে হামলা চালিয়েছিল। কিন্তু এখন তারা বলছে, একজন হামলাকারী পিস্তল নিয়ে ওই হামলা করেছে। হামলার পর সে নিজের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করে। সন্দেহভাজন হামলাকারীর মৃতদেহটি পাওয়া গেছে অলিম্পয়া শপিং সেন্টারের প্রায় এক কিলোমিটার দূরের একটি স্থানে। তার সঙ্গে একটি লাল ব্যাকপ্যাক ছিল। ওই ব্যাগপ্যাকটিতে কোন বিস্ফোরক আছে কিনা রোবট ব্যবহার করে পুলিশ তা পরীক্ষা করে দেখছে।

এদিকে হামলার পর শহরের সব যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শহরের বাসিন্দাদের জনাকীর্ণ এলাকাগুলো এড়িয়ে চলার জন্য পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। মিউনিখের এক প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, হামলার পরপরই শহরের সব যানচলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে অনেকেই তাদের অফিসে আটকে পড়েন। যারা বাড়িতে যেতে পারছেন না, তাদের জরুরী আশ্রয় দিচ্ছেন স্থানীয়রা। টুইটারে ‘খোলা দরজা’ নামে একটি হ্যাশট্যাগও চালু হয়েছে।

মিউনিখ হামলার পর জরুরি বৈঠকে বসছেন জার্মানীর কর্তৃপক্ষ। চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গোলা মেরকেলের চীফ অফ স্টাফ পিটার আল্টমেইয়ার বলেছেন, কারা এবং কেন এই হামলা, তা এখনো পরিষ্কার নয়। তিনি আরো বলছেন, ‘এটা সন্ত্রাসী হামলা নয় বলে আমরা উড়িয়েও দিতে পারি না। আবার একে এখনই সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে নিশ্চিত করে বলতেও পারছি না। তবে এসব বিষয় গুরুত্ব দিয়েই আমরা তদন্ত করছি।’

এই ঘটনার কড়া নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ব্রিটেন। জার্মানির যেকোনো সঙ্কটে পাশে থাকারও অঙ্গীকার করেছেন এসব দেশের রাষ্ট্র নেতারা।



মন্তব্য চালু নেই