মিঠাপুকুরে কোচিং পরিচালকের বেদম প্রহারে দুই শিক্ষার্থী আহত

রংপুরে মিঠাপুকুরে শ্রেণী শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়ার জের ধরে এক কোচিং ছাত্রের উপর নির্মমভাবে প্রহার করেছে কোচিংয়ের পরিচালক। গত শুক্রবার দুপুরে ওই ছাত্রের মেসে গিয়ে রাফি কোচিং সেন্টারের পরিচালক কামরুল হাসান সাজু এ ঘটনা ঘটায়।
শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, বৈরাতি দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র আসাদুজ্জামান অনিক ও আদারহাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র মুসা চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে রাফি কোচিং সেন্টারে ভর্তি হন। নিয়মিত চলছিল শ্রেণীকক্ষে পাঠদান। গত শুক্রবার থেকে অনিক ও মুসা মিঠাপুকুর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রামকৃষ্ণ চন্দ্রের কাছে প্রাইভেট পড়তে শুরু করে। ক্ষিপ্ত হয়ে রাফি কোচিং সেন্টারের পরিচালক কামরুল হাসান সাজু উপজেলার ধলার বাজার এলাকায় মেসে গিয়ে আসাদুজ্জামান অনিক ও মুসার উপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। এতে, দুই ছাত্রই গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনার পর ছাত্ররা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে থানায় একটি অভিযোগ প্রদান করেন ওই ছাত্রের অভিভাবক। গতকাল রবিবার সকালে মিঠাপুকুর থানার এসআই বাহার বিষয়টি নিয়ে মির্মাংসায় বসেন। রাফি কোচিং সেন্টারের পরিচালক কামরুল হাসান সাজু থানায় গিয়ে ক্ষমা চেয়ে শেষ রক্ষা পান। নির্যাতনের শিকার ছাত্র আসাদুজ্জামান অনিক বলেন, রাফি কোচিং সেন্টারে কোচিং না করার কারণে স্যার আমাদের পিটিয়েছে। ছাত্র আসাদুজ্জামান অনিকের বাবা বৈরাতি দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, আমিও একজন শিক্ষক। শিক্ষার্থীদের শাষণ আমরাও করি। তবে, এ রকম পাশবিক নির্যাতনের ঘটনা এখানেই দেখলাম।



মন্তব্য চালু নেই