যৌতুকের টাকা আনতে না পারায়

মিঠাপুকুরে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা

মোঃ শামীম আখতার, উপজেলা প্রতিনিধি, মিঠাপুকুর (রংপুর)॥ রংপুরের মিঠাপুকুরে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা আনতে না পারায় রহিমা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়েছে শশুড় বাড়ির লোকজন। মঙ্গলবার সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাফ্রিখাল ইউনিয়নের আলীপুর পশ্চিম পাড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে রাজমিস্ত্রি নুর আলমের সাথে এক বছর আগে বিয়ে হয়েছিল খোর্দ্দ কাশিনাথপুর গ্রামের বর্গা চাষি আইয়ুব আলীর মেয়ে রহিমা বেগমের। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য স্বামী ও শশুড়-শাশুড়ী মিলে রহিমার ওপর নির্যাতন চালাত। প্রতিদিনই রহিমাকে তার বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা নিয়ে নিয়ে আসার জন্য চাপ দিত স্বামী ও শশুড়-শাশুড়ী। কিন্তু, গরীব বাবার কাছ থেকে টাকা আনতে অস্বীকৃতি জানানোয় রহিমার ওপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। প্রতিদিন বাবা-মা তুলে অকথ্যভাষায় গালমন্দ করা হতো। এর প্রতিবাদ করলেই শুরু হত মারপিট।

সোমবার রাতে যৌতুক নিয়ে আবারও নির্যাতন করে স্বামী ও শশুড় বাড়ির লোকজন। বেধড় পিটুনীতে গৃহবধূ রহিমা অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে রহিমা। অবস্থা বেগতিক দেখে তার লাশ ঘরের তীরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখে স্বামী ও শশুড়-শাশুড়ী পালিয়ে যায়। পরদিন গতকাল মঙ্গলবার সকালে প্রতিবেশিরা ওই বাড়িতে গিয়ে দরজা ভেঙ্গে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থা গৃহবধূর লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

মিঠাপুকুর থানার ওসি হুমায়ুন কবীর বলেন, যৌতুকের দাবিতে প্রায় সময় রহিমাকে মারপিট করতো শশুর বাড়ির লোকজন। তাদের মারপিটে সে মারা যায়। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে জোরালো অভিযান চালানো হচ্ছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।



মন্তব্য চালু নেই