মিতু হত্যা: এক মাসেও হদিস মেলেনি সেই মুছার

এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার এক মাস হয়ে গেলেও হসিদ নেই হত্যাকাণ্ডের ‘মূল হোতা’ কামরুল ইসলাম ওরফে মুছা সিকদারের। একইভাবে পুলিশী খাতায় ‘পলাতক’ রয়েছে নুরুল ইসলাম রাশেদ ওরফে ভাগ্নে রাশেদ ও আবদুল নবীর। তাদের পরিবারের দাবি- তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা পুলিশ হেফাজতেই রয়েছে।

পরিবারের দাবি অস্বীকার করে তদন্ত কর্মকর্তারা বলেন, মুছাকে গ্রেফতার করা গেলে খুলে যাবে এ হত্যা মামলার রহস্যজট। তাই মুছাসহ সব আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

মুছা সিকদারের স্ত্রী পান্না আক্তার বলেন, ”মিতু হত্যার পর মুছাকে আটক করেছে পুলিশ। এখন তারা অস্বীকার করছে। মুছা যদি অপরাধ করে থাকে, তাহলে প্রচলিত আইনের মাধ্যমে তাকে শাস্তি দেওয়া হয়। অন্য কোন পন্থায় নয়।”

মিতু কিলিং মিশনে সরাসরি অংশগ্রহণকারী নুরুল ইসলাম রাশেদ ওরফে ভাগ্নে রাশেদের ছোট ভাই শহীদুল ইসলাম বলেন, ”রাশেদকে গ্রেফতারের পর পুলিশ এখন তা অস্বীকার করছে। তার ভাগ্যে কি ঘটছে তা এখন বুঝতে পারছি না।”

জানা যায়, পুলিশী খাতায় পলাতক থাকা মুছা সিকদার, নুরুল ইসলাম রাশেদ এবং আবদুল নবী মিতু হত্যায় সরাসরি অংশ নেয়। তাদের মধ্যে মুছা এসপি’র স্ত্রী মিতুকে গুলি করে এবং মটরসাইকেল চালিয়ে অন্য দু’জনকে নিয়ে পালিয়ে যায়।

প্রসঙ্গত, গত ৫ জুন নগরীর জিইসি’র মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুবৃর্ত্তদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে।



মন্তব্য চালু নেই