‘মীর কাসেমকে সর্বোচ্চ সাত দিন সময় দেয়া হবে’

রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার বিষয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীকে অনন্তকাল সুযোগ দেয়া হবে না বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। কারা মহাপরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বড়জোর সাত দিন সময় দেয়া হবে এই জামায়াত নেতাকে।

মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে মীর কাসেমের রিভিউ আবেদন নাকচের রায়টি বুধবার সকালে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম মঙ্গলবারই জানান, জামায়াত নেতার সামনে এখন কেবল রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সুযোগ রয়েছে। সকালে কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ এই ক্ষমা প্রার্থনার বিষয়ে জামায়াত নেতার কাছে সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে তিনি সময় নেয়ার কথা জানান।

দুপুরে মীর কাসেমের নয় স্বজন কারাগারে তার সঙ্গে দেখা করে এসে জানিয়েছেন, ছেলে আহমাদ বিন কাসেমকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধরে নিয়ে গেছে অভিযোগ করে তাকে ফিরিয়ে না দেয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন না এই জামায়াত নেতা।

মীর কাসেমের ছেলে আহমাদ বিন কাসেম গত ১০ আগস্ট থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। জামায়াতের অভিযোগ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই তাকে ধরে নিয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, আহমাদ বিন কাসেমকে তারা আটক করেনি।

ছেলের সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত যদি মীর কাসেম আলী রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখেন, তাহলে দণ্ড কার্যকর কি থেমে থাকবে?-কারা সদরদপ্তরে সাংবাদিকরা জানতে চান কারা মহাপরিদর্শক ইফতেখার উদ্দিন আহমেদের কাছে।

‘তাকে (মীর কাসেম আলী) রিজনেবল টাইম দেয়া হবে’-জবাব দেন কারা মহাপরিদর্শক। এই রিজনেবল টাইম কতদিন?-জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই ধরেন সর্বোচ্চ সাতদিন।’

কারা মহাপরিদর্শক জানান, দণ্ড কার্যকর হওয়ার আগে মীর কাসেম আলীর স্বজনরা আরও একবার তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন।

প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে একজন আসামি কত সময় পাবেন, সেটা আইনে স্পষ্ট নয়। মীর কাসেমের রিভিউ আবেদন নাকচ হয়ে যাওয়ার পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যম কর্মীদের বলেছেন, তিনি মনে করেন, যুক্তিসঙ্গত সময় সাত দিন হওয়া উচিত।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানিয়েছেন, আসামি ক্ষমা প্রার্থনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত না দিলে সরকার যে কোনো সময় দণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।



মন্তব্য চালু নেই