মীর কাসেমের ফাঁসি কোন কারাগারে?

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি ও জামায়াতের নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কোন কারাগারে কার্যকর করা হবে এনিয়ে এখনো সংশয় রয়েছে। এ পর্যায়ে কারা কর্তৃপক্ষ ধারনা করছে, কেরানীগঞ্জে নবনির্মিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ফাঁসির মঞ্চেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে পারে কাসেম আলীর।

এর আগে গত ৬ জুন মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। মীর কাসেম আলীকে পূর্ণাঙ্গ রায় পড়ে শোনানোর জন্য রায়ের কপি কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। রায় শুনে আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করেন তিনি। এরপর রায় পুনর্বিবেচনা বা রিভিউ করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

রিভিউ, রিভিউয়ের শুনানি এবং রিভিউয়ের আদেশের এই কয়েকটি ধাপ শেষ হলেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে। তবে এসব ধাপে কতদিন সময় লাগতে পারে তা বলতে পারছেন না কেউই।

এদিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে জুলাই মাসের ১৫ অথবা ১৬ তারিখ নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দীদের কেরানীগঞ্জে স্থানান্তর করা হবে।

যদি ১৫ জুলাইয়ের আগে মীর কাসেমের বিচারকার্য সম্পন্ন হয় তবে পুরাতন কারাগারের ফাঁসির কাষ্ঠেই ঝুলতে হবে তাকে। আর যদি এর বিলম্ব ঘটে তাহলে নতুন কারাগারেই তার ফাঁসি কার্যকর করা হবে।

মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পরবর্তী ধাপগুলো :

বর্তমানে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের দেয়া পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি পর্যালোচনা করছেন মীর কাসেম আলীর আইনজীবীরা। পর্যালোচনার পর যে সব পয়েন্টে দণ্ড কমানোর সুযোগ রয়েছে সেগুলো তুলে রিভিউ আবেদন করা হবে। আইনের বেঁধে দেয়া ১৫ দিনের অর্থাৎ জুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহে মধ্যেই রিভিউ আবেদন করতে পারেন।

যদি মীর কাসেম আলী আপিল বিভাগে রিভিউ আবেদন করেন তবে আদালত এর প্রেক্ষিতে শুনানির দিন ধার্য করবেন। দু’পক্ষের শুনানির পর আদেশের দিন ধার্য হবে। যদি আদালত কাসেমের রিভিউ খারিজ করেন তাহলে আদেশের কপি কারাগারে পাঠানো হবে। কারা কর্তৃপক্ষ তাকে ( কাসেম আলীকে) রায় পড়ে শোনাবেন এবং প্রাণ ভিক্ষার বিষয়ে জানতে চাইবেন। প্রাণ ভিক্ষা চাইলে ফাঁসি কার্যকরে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে। তবে যদি তিনি প্রাণভিক্ষা না চান তাহলে ফাঁসি কার্যকরে আর কোন বাধা থাকবে না।

এর আগে ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে দুই অভিযোগে মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ড এবং আট অভিযোগে সব মিলে ৭২ বছরের কারাদণ্ড দেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। আপিলের রায়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলে মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মূলহোতার বিরুদ্ধে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিন আহমেদকে খুনের দায়ে এক অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড এবং আরো ছয় অভিযোগে ৫৮ বছর কারাদণ্ডের সাজা বহাল রাখা হয়েছে।জাগো নিউজ



মন্তব্য চালু নেই