মীর কাসেমের রিভিউ শুনানি সোমবার

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর করা রিভিউ আবেদনের শুনানি হবে আগামী ২৫ জুলাই (সোমবার)।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে রিভিউ শুনানি শুরু হবে।

এর আগে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী গত ২১ জুন রিভিউ শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। এর আগে ১৯ জুন মীর কাসেম আলীর আইনজীবীরা রিভিউ আবেদন করেন।

একাত্তর সালের আলবদরের শীর্ষ তৃতীয় নেতা মীর কাসেম আলী। এ ছাড়া ফাঁসি কার্যকর হওয়া জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের পর মীর কাসেম ছিলেন আলবদর বাহিনীর তৃতীয় প্রধান নেতা।

মীর কাসেম আলীকে আপিল বিভাগ যে সাতটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে তাকে কারাদণ্ড দিয়েছেন, তার সব কয়টিতেই খালাস চেয়ে এ আবেদন করা হয়। আবেদনে মীর কাসেম আলীকে নির্দোষ দাবি করে ১৪টি যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে।

মীর কাসেম আলীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর রায় দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন মেয়াদে তাকে কারাদণ্ডও দেওয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৩০ নভেম্বর খালাস চেয়ে মীর কাসেম আলী আপিল করেন।

ওই আপিলের ওপর শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিম হত্যার দায়ে মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে চলতি বছরের ৮ মার্চ সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষণা করেছিলেন। রায় ঘোষণার এক মাস পরে রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয় গত ৬ জুন। ওই দিনই রায়ের কপি কারাগারে পৌঁছে এবং মীর কাসেম আলীকে মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শোনানো হয়। এরপর তিনি রিভিউ আবেদন করেন।

নিয়ম অনুযায়ী রিভিউ আবেদন করা হলে রায়ের কার্যক্রম স্থগিত থাকে। রিভিউ খারিজ হলে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবেন তিনি। রাষ্ট্রপতি প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করলে যেকোনো সময় সরকার কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দণ্ড কার্যকর করতে পারবে।



মন্তব্য চালু নেই