মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বললে শাস্তি

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ সম্পর্কিত আইন প্রণয়ন করার বিষয়ে সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এছাড়া যারা স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস বিকৃত করবে, বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করবে এবং যারা একাত্তরের খুনি গণহত্যাকারীদের পক্ষে কথা বলবে, তাদের বিরুদ্ধে এই আইনের বলে শান্তির বিধান রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) সকালে দশম জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে মহিলা আসন-২৩ এর সংসদ সদস্য বেগম পিনু খানের এক প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘ইতিহাস বিকৃতিকারীদের বিরুদ্ধে এখনও কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি তবে ভবিষ্যতে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বিশ্বের নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশে সকল শ্রেীণ-পেশার জনগণ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। বাঙালি জাতি পাক-বাহিনীর ঘৃণ্য বর্বরতাকে কখনো ভুলবে না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য শুরু করেছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায় কার্যকর করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকজনের বিচারের কাজ প্রায় চুড়ান্ত পর্যায়ে। এছাড়া অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীর বিচার এগিয়ে চলছে।’



মন্তব্য চালু নেই